বুধবার, ২১ মে, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ১৭:২৭

ফরিদগঞ্জে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির সড়ক পেরিয়ে যে স্কুলে নিত্য যায় শিক্ষার্থীরা-

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো।।
ফরিদগঞ্জে  দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির সড়ক পেরিয়ে যে স্কুলে নিত্য যায় শিক্ষার্থীরা-

ফরিদগঞ্জ পৌর শহরের ফরিদগঞ্জ বালিকা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রবেশ পথটি দিয়ে যে কেউই যাওয়ার সময় থমকে দাঁড়াবে। কারণ ড্রেন থেকে লিকেজ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে গড়াচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মশা মাছির উপদ্রব। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়াচ্ছে রোগবালাই। এসব কিছু সহ্য করে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে সরকারি চাকুরিজীবীরা ও স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ফরিদগঞ্জ বালিকা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায় এই করুণ অবস্থার চিত্র। স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিতে দিয়ে গড়াচ্ছে ড্রেন থেকে লিকেজ হওয়া কালো নোংরা পানি। পাশেই জমে আছে ময়লা আবর্জনা। শিক্ষার্থীরা সেই পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। স্কুল লাগোয়া সড়কের ময়লা পানির দুর্গন্ধ স্কুলের শ্রেণিকক্ষের ভেতর থেকেও পাওয়া যাচ্ছে।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ফলে শিক্ষকদেরও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ফরিদগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ড্রেন লিকেজ হয়ে নোংরা ময়লা পানি গড়াচ্ছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও অদ্যাবধি কার্যকর কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিফা আক্তার, ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাফি, প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা তাসনীমসহ আরো কয়েকজন জানান, দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় তাদের।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে আগত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণসহ আশেপাশের মানুষের রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এই সড়কটির বিষয়ে আমরা একাধিকবার পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা আশাহত হচ্ছি।

ফরিদগঞ্জ বালিকা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ও সড়কের পথে ময়লার ভাগাড়ের জন্যে শিক্ষার্থীদের নানান রোগবালাই দেখা দিয়েছে। আমরা পৌরসভা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে একাধিকবার জানালেও কোনো ফলাফল আসেনি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, সবেমাত্র আমি পৌরসভার দায়িত্বগ্রহণ করেছি। বিদ্যালয়টির সড়কে ময়লা পানির বিষয়টি জেনেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। এ সমস্যা নিরসনের জন্যে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়