প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৬
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সাথে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ,
|আরো খবর
ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের প্রেসিডেন্ট ও ট্রাস্টের পরিচালক আরিফুল ইসলাম জিয়া, ট্রাস্টের উপদেষ্টা এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, পরিচালক আনোয়ার হাবিব কাজল, মোঃ মুসাব্বির হোসেন প্রমুখ।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দল বিশেষ সহকারীকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি বলে তাগিদ দেন। এ সময় জনাব নুরে আলম তালুকদার বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসার পর ১০টি কশিশন গঠন করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, আজ পর্যন্ত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। অথচ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সবার আগে জাতিকে সুষ্ঠু সবলভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। অনতিবিলম্বে সকল স্ট্যাক হোল্ডারের সমন্বয়ে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার গত ষোল বছরে শিক্ষা এবং বিচার ব্যবস্থাসহ দেশের সকল সংস্থার অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সেই স্বৈরাচার আওয়ামীলীগকে বিতাড়িত করে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পেরেছি। তাই এখন সময় এসেছে দেশকে ঢেলে সাজানোর। সরকার যেহেতু ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন, তাই কালবিলম্ব না করে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি। প্রতিনিধি দল বিশেষ সহকারীকে জানান, বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট গত ২৪ বছর অর্থাৎ দুযুগ যাবত দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। তাই ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিও এ কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদার সংক্ষেপে ট্রাস্টের গত ২৪ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ।
সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দীন আহমেদের বিশেষ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।