প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫
অভিভাবকহীন ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
দেড় মাস ধরে পলাতক প্রধান শিক্ষক
জেলা প্রশাসকের বিস্ময়--'একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কীভাবে রাজনৈতিক দলের জেলা ও উপজেলা কমিটিতে ছিলেন'
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই জোড়াতালি দিয়ে চলছে ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল আমিন (কাজল) গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। স্কুলের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ৪৫ দিন ধরে তার অনুপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। আগস্ট মাসের ৬ তারিখ ও ২৫ তারিখ তিনি ১০ মিনিটের জন্যে স্কুলে এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি নিয়ে গা ঢাকা দেন। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্কুল কীভাবে চলছে, চালাচ্ছে তার কোনো খোঁজ নেনিন।
|আরো খবর
পেশাগত দিক থেকে রফিকুল আমিন প্রধান শিক্ষক হলেও সামাজিকভাবে তিনি একজন সুবিধাভোগী রাজনীতিবিদ। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আমিন আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে দলীয় পদকে কাজে লাগিয়ে নানা অপকর্ম করেছেন বলে সরকার পতনের পর স্কুল ছেড়েছেন--এমনটি জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষকগণ। স্কুল ছাড়ার পূর্বে লিখিতভাবে কাউকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে যাননি তিনি। যার ফলে নেতৃত্বহীন স্কুলটিতে হ-য-ব-র-ল ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অভিভাবকহীন স্কুলের শিক্ষকগণ বেতনের জন্যে প্রতিদিনই হাহাকার করছেন। স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে বিতর্কিত পলাতক প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে নতুন করে অস্থায়ী বা স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক প্যানেলসহ স্কুলের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. মুহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া(বর্তমানে প্রয়াত)-এর আশীর্বাদে উপজেলা সদরস্থ স্কুলে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান মোঃ রফিকুল আমিন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে এডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিলো তার। নিয়োগকালীন পরীক্ষায় একাধিক শক্ত প্রতিপক্ষ থাকলেও লিখিত পরীক্ষায় মাত্র তিন নম্বর পেয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন রফিকুল আমিন। তার নিয়োগ পরীক্ষার খাতা ভাইরাল হয়েছিলো সোস্যাল মিডিয়ায়। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অধিক নম্বর যোগ করে সর্বোচ্চ নম্বর দেখিয়ে রফিকুল আমিনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বলে জানান স্কুলের তৎকালীন করণিক। অত্র প্রতিষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে স্কুলকে শতভাগ দলীয়করণ করতে চালিয়েছেন আপ্রাণ চেষ্টা। উপজেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘমেয়াদী সাবেক সভাপতিকে স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে স্কুলকে বানিয়েছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের হেড কোয়ার্টার।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে দলীয় কোটায় শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিনের নিয়োগ যে প্রক্রিয়ায় হয়েছিলো সুলতানা রাজিয়ার নিয়োগও হয়েছিলো একই প্রক্রিয়ায়। লিখিত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর পাওয়া আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীকে মৌখিক পরীক্ষায় ৫০ নম্বর যুক্ত করে সর্বাধিক নম্বর দেখিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। রাজনৈতিক কোটায় চাকরি পেয়ে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের ডিঙ্গিয়ে সুলতানা রাজিয়া হয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম লেখা হতো সহকারী প্রধান শিক্ষকের পরেই। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকগণ আগে মুখ না খুললেও ৫ আগস্টের পর তা গণমাধ্যমকে বলা শুরু করেছেন।
স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে স্কুল মাঠে মানববন্ধন করেছে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। 'স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক' -এমন অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করে স্কুল ক্যাম্পাসে প্রধান শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। যার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধিগণ।
পলাতক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদপত্র জালিয়াতি, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন শিক্ষকতা পেশা গোপন করে 'বিজনেসম্যান' পরিচয়ে আরও দু'টি মাধ্যমিক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়া, স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের জোরপূর্বক আওয়ামী লীগে যোগদান করানো, সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকার পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিধিবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক হওয়া, প্রধান শিক্ষক পদে থেকে লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা ও স্কুল ফান্ডের টাকা নিজ ব্যবসায় ইনভেস্ট করার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও তিনি স্কুলের সম্পত্তির অংশবিশেষ বিক্রির উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সমস্য ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন নিজেকে শিক্ষামন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে পুরো ৫ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন সচিবালয়ের একাধিক বিভাগ। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে অসংখ্য সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও অতীতে রাজনৈতিক পদ-পদবী ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আমলে পার পেয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে আনা ১৭টি অনিয়মের অভিযোগে দুবার শুনানি হয়। বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা-৩-এর উপসচিব কামরুল হাসান একবার ও উপ-সচিব সোনা মনি চাকমা একবার করে শুনানি করেন তার। প্রতিটি শুনানিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন মর্মে অভিযোগকারীকে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু সেই শুনানির ফলাফল আজও প্রকাশিত হয়নি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আরও একটি শুনানি হয়। সেখানেও তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু সেই শুনানির আলোকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কাজল মাস্টার (মোঃ রফিকুল আমিনের ডাক নাম) খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি নিজেকে কখনও সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর (ডাঃ দীপু মনির) লোক, কখনও শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের লোক, কখনও এমপি শামছুল হক ভূঁইয়ার ছোট ভাই, কখনও এমপি সাংবাদিক সফিকুর রহমানের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দফতরে প্রভাব বিস্তার করতেন।
ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোশিয়েশন (ফারিসা)-এর প্রধান সমন্বয়ক ফরিদ আহমেদ রিপন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ বছর স্কুলে রাজনৈতিক বলয় তৈরি করে যে অরাজকতা তৈরি করেছেন তাতে তার পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার স্বাধীন ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। আমরা সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাবো, বিতর্কিত ব্যক্তিকে বারবার প্রধান শিক্ষকের আসনে বসিয়ে শিক্ষকতা পেশাকে কলুষিত করবেন না। অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মণ্ডল জানান, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক দেড় মাস ধরে স্কুলে আসছেন না তা মাত্রই আমি জানলাম। এ বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিত বা মৌখিক ভাবে জানায়নি। স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে সরকারি বিধি মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক রিতা চক্রবর্তী বলেন, কোনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনা নোটিসে কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে তিন কার্য দিবসের বেশি স্কুলে না আসলে সহকারী প্রধান শিক্ষক অটোমেটিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার কথা। সহকারী প্রধান শিক্ষক অপারগ হলে পরবর্তী সিনিয়র শিক্ষক যিনি আছেন তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হবেন। কিন্তু ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট স্কুলের ক্ষেত্রে কেনো এমনটি হলো না তা জেনে আমি বিস্মিত হলাম। ছাত্র/শিক্ষকের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আমরা বিনা ছুটিতে ৪৫ দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরে চিঠি পাঠাবো।
চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ বিষয়টা আমি জানি। কাউকে যে চার্জ (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব) দেননি তাও জানি। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছিলাম, 'আপনি এখন কী করবেন? কাউকে কি দায়িত্ব দিবেন?' উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেছিলেন, তিনি কাউকে চার্জ দিবেন না। দূর থেকে ফোনে ফোনে স্কুলের দায়িত্ব পালন করবেন।
'শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে দূর থেকে ফোনে ফোনে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুল চালানো যায় কি-না' এমন প্রশ্নে জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, না তা বিধিবহির্ভূত। প্রধান শিক্ষককে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়তো অধিদফতর থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে অন্যত্র ট্রান্সফার হতে হবে অথবা দীর্ঘ মেয়াদী ছুটি নিয়ে কাউকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। যদিও মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী ছুটির আবেদন করাটা নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটির একটি দরখাস্ত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। কেননা নিয়মানুসারে কোনো সরকারি কর্মকর্তা হসপিটালে ভর্তি বা বিশেষায়িত চিকিৎসকের সার্টিফিকেট থাকলে তিনি অসুস্থতার বিপরীতে সর্বোচ্চ তিন মাস ছুটি প্রাপ্য হবেন। এর বাইরে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা দেখিয়ে বা রাজনৈতিক কারণে তিনি কোনোভাবেই তিন দিনের বেশি ছুটি ভোগ করতে পারেন না। টানা দেড় মাসের মতো স্কুলে অনুপস্থিত থাকাটা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল আমিনের রাজনৈতিক পদ-পদবী সম্পর্কে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কীভাবে রাজনৈতিক দলের জেলা ও উপজেলা কমিটিতে ছিলেন!' প্রধান শিক্ষকের ৪৫ দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ফোনে ফোনে অনলাইনে স্কুল চালানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রধান শিক্ষককে চাকরি করতে হলে অফলাইনে সরেজমিনে স্কুলে এসেই চাকরি করতে হবে। স্কুলটির শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে জেলা শিক্ষা অফিসার নিশ্চয়ই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। আমি এ বিষয়ে ডেটা কালেক্ট করছি। শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কোনো ভাবেই রাজনৈতিক দলের পদ বহন করতে পারেন না। এটি গুরুতর অন্যায়। শিক্ষকতা পেশায় থেকে অন্য কোনো লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকতে পারেন না। এটিও অন্যায়। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি জানান, দেড় মাস কেন, বিনা অনুমতিতে বা বিনা ছুটিতে কোনো শিক্ষক ১৫ দিনও স্কুলের বাইরে থাকতে পারবেন না। আমি আপনাদের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক বা কোনো সচেতন অভিভাবককে অনুরোধ জানাবো, তার বিরুদ্ধের সকল অনিয়ম লিখিত ভাবে যেন অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংকে জানানো হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভাগীয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ত্বরিৎ গতিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল আমিনকে তার ব্যক্তিগত গ্রামীণ ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তার চাঁদপুরের বাসায় যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়েছে তিনি বাসায় নেই। কোথায় আছেন কেউ জানেন না।