শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ২২:০২

বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন হাজীগঞ্জের ২ বোান জান্নাত আর জান্নাতুল

কামরুজ্জামান টুটুল
বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন হাজীগঞ্জের ২ বোান জান্নাত আর জান্নাতুল

হাজীগঞ্জের আপন দুই বোন বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন। ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলে চুড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন 

হাজীগঞ্জের দুই বোন বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত জান্নাত সুমি ও জান্নাতুন নাঈম খুশবু।  তারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্য জান্নাত শিক্ষা ক্যাডারে আর জান্নাতুল কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন। তারা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এয়াকুব মিয়া ও গৃহিণী রুপিয়া বেগম দম্পতির মেঝো ও ছোট মেয়ে। এই দম্পতির বড় মেয়ে জাহানারা ফেরদৌসী সুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০-১১ সেশনে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। সুমি বর্তমানে আঞ্জুমান মোখলেছুর রহমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্টাক্টর পদে কর্মরত আছেন।

অপর দিকে জান্নাতুন নাঈম খুশবু  ২০১১ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৩ সালে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ থেকে এইচসএসসি পাস এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। খুশবু বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) কর্মরত আছেন।

গুলে জান্নাত সুমি জানান, ২০১৬ সালে ৩৮তম বিসিএসে আশানুরূপ ফল না পেয়ে পুনরায় নতুন উদ্যোমে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। ৪০তম বিসিএসের ফলাফলে আমার নাম না দেখে এবং নন-ক্যাডার তালিকায় নাম দেখে হতাশায় ভেঙে পড়ি। আবার ৪০তম বিসিএস থেকেই নন-ক্যাডার নিয়োগে নতুন করে জটিলতা শুরু হলে আমারও এক অসহনীয় কষ্টের যাত্রা শুরু হয়। ভবিষ্যতের শঙ্কায় দিনের পর দিন উৎকণ্ঠায় রাতের পর রাত নির্ঘুমে কেটেছে আমার।

সুমি আরো বলেন, হাজীগঞ্জেই আমার বেড়ে উঠা। সেখানেই শৈশব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কারণে চট্রগ্রাম থেকে নিয়মিত ঢাকায় গিয়ে চাকরির পরীক্ষা দেওয়া ছিল কষ্টকর। তাই মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে ঢাকায় চলে যাই। হঠাৎ করে ঢাকায় আসায় থাকার সমস্যা, মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা শুরু হয়। ঢাকায় আসার পর বুঝতে পারি, চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আমি অনেক পিছিয়ে আছি। তারপর নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করি।  পরিবারের ওপর চাপ কমানোর জন্য এবং একই সঙ্গে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আঞ্জুমান মোখলেছুর রহমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্টাক্টর পদে যোগ দিই। সেই সঙ্গে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন কোর্সে ভর্তি হয়ে শিা বিষয়ক পড়ালেখা শুরু করি। চাকরি করার পাশাপাশি বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। অবশেষে আল্লাহর রহমতে সফলতা অর্জন করি।

অপর দিকে কৃষি ক্যাডারে সুপারিপ্রাপ্ত জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, ২০১৯ সালে স্নাতক শেষ করে ৪১ তম বিসিএসে আবেদন করি। যদিও চাকরির পরীক্ষার জন্য তেমন প্রস্তুতি ছিলনা। কারণ, তখন মাত্র স্নাতক শেষ করেছি। ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি পরীা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য তা পিছিয়ে যায়। আর আমিও প্রস্তুতির জন্য কিছু সুযোগ পেয়ে যাই। তখন ক্যাম্পাস থেকে বাড়িতে ফিরে আসি।

তিনি আরো বলেন, বাড়িতে এসে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। প্রিলিমিনারি হয়েছিল ২০২১ সালের ১৯ মার্চ, আমি পড়ার জন্য এক বছরেরও বেশি সময় পাই। এ জন্য ভালো ভাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করি। আল্লাহর রহমতে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পাস করি। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) যোগ দেই। এখানো সেখানেই কাজ করছি। ৩ আগস্টে ৪১ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় স্থান পেয়ে সত্যিই আপ্লুত হয়েছি। 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়