প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকার : শ্যামা সরকার মুন
মা আমার প্রিয় শিক্ষক
শ্যামা সরকার মুন নিয়মিত নৃত্য, গান ও আবৃত্তি চর্চা করেন। তবে গান আর আবৃত্তির প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক রয়েছে। ইতোমধ্যে নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিস্বরূপ নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
শ্যামা সরকার মুন চাঁদপুর ইকরা মডেল একাডেমি থেকে পিইসি ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি এবং এসএসসি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
শ্যামা সরকার মুন : ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
শ্যামা সরকার মুন : আমার শিক্ষাজীবনের শুরু চাঁদপুরে। ইকরা মডেল একাডেমি, চাঁদপুর থেকে আমি আমার পিইসি ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে জেএসসি এবং এসএসসি সম্পন্ন করি। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? তিনি কেনো প্রিয়?
শ্যামা সরকার মুন : আমার প্রিয় শিক্ষক আমার মা। কারণ আমার পড়াশোনা, গান, চিত্রাঙ্কনসহ প্রায় অনেক কিছুর হাতেখড়ি মায়ের কাছে। আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আমাকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে আসার পেছনে মায়ের অনেক অবদান রয়েছে। তাই মা-ই আমার জীবনের প্রিয় শিক্ষক। মা শুধু শিক্ষকই নন, প্রিয় বন্ধুও বটে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার স্কুলে কী কী সহ-শিক্ষা কার্যক্রম হয়?
শ্যামা সরকার মুন : নানা ধরনের কার্যক্রম হয়ে থাকে। নৃত্য, গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক, নাটক, বিজ্ঞান-বিষয়ক কার্যক্রমসহ নানা ধরনের খেলাধুলা ইত্যাদি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কোন্ কোন্ শাখায় চর্চা করেন? সবচেয়ে ভালো লাগে কোন্ শাখাটি?
শ্যামা সরকার মুন : আমি নৃত্য, গান আর আবৃত্তি শাখায় চর্চা করি। চিত্রাঙ্কন বিষয়েও অভিজ্ঞতা ছিলো, তবে অষ্টম শ্রেণির পর সেভাবে আর চর্চা করা হয়নি। সবচেয়ে ভালো লাগে বলতে তিনটিই খুব প্রিয়। তবে গান আর আবৃত্তি প্রায়ই করা হয়। তাই গান আর আবৃত্তি সবচেয়ে বেশি প্রিয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আপনার বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন?
শ্যামা সরকার মুন : সামাজিক/সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আমার বাবা-মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। তারা সবসময় আমাকে এ বিষয়ে সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার মায়ের ভূমিকা অনেক। কারণ তার হাতেই তো আমার হাতেখড়ি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : গান, কবিতা, আবৃত্তি, চিত্র প্রদর্শনী, নাটক ইত্যাদির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কেমন?
শ্যামা সরকার মুন : শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের আগমন আর দেশ-বিদেশে সাংস্কৃতিক বিষয়ে মানুষদের অংশগ্রহণ দেখলেই যা প্রতীয়মান হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সৃজনশীল/সাংস্কৃতিক চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ আপনি কী কী পুরস্কার পেয়েছেন?
শ্যামা সরকার মুন : আমি নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন চর্চায় উপজেলা, জেলা, বিভাগীয়সহ নানা পর্যায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার অর্জন করেছি। সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট রয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে আপনি কাদের দেখে অনুপ্রাণিত হন?
শ্যামা সরকার মুন : সংস্কৃতি অঙ্গনে জাতীয় পর্যায়ের সবাই অভিজ্ঞ ব্যক্তি। প্রতিদিনই সবার কাছ থেকে কোনো না কোনোভবে অনুপ্রাণিত হই। তবে আমি বিশিষ্ট ছড়াকার, কবি ও সাহিত্যিক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া স্যারের কাছ থেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত হই। কারণ ওনাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ওনার সাথে অনেক অনুষ্ঠান করারও সুযোগ হয়েছে আমার। উনি যেমন শাসন করেন, তেমনি বাবার মতো স্নেহও করেন। ওনার মতো একজন অভিজ্ঞ গণ্যমান্য ব্যক্তির সান্নিধ্যে থাকতে পেরে নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবতী মনে হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনার সবচেয়ে আনন্দের দিন কোনটি? কেনো আনন্দের দিন?
শ্যামা সরকার মুন : সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার সবচেয়ে আনন্দের দিন হচ্ছে, যেদিন আমি প্রথম স্টেজ পারর্ফম করি। কারণ ওইদিনই আমি আমার সংস্কৃতি অঙ্গনে চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছিলাম। তাই ওইদিনটিই আমার সবচেয়ে আনন্দের দিন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময়ে কী করেন?
শ্যামা সরকার মুন : অবসরে বেশির ভাগ সময় গান শুনি। পাশাপাশি গান গাই। বেশ ভালো লাগে।