শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৪

টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহ করেন শিক্ষকরা!

নূরুল ইসলাম ফরহাদ
টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহ করেন শিক্ষকরা!

ফরিদগঞ্জ রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক অবস্থানুসারে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিপরীতে শিক্ষকরা বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষের ভ‚মিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঘটনার বিবরণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জ কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। নিয়ম বহিভর্‚তভাবে নিয়মিত হলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদেরকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে আসছেন কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. বাকী বিল্লাহ এবং খন্ডকালীন শিক্ষক কামাল হোসেন। এর বিপরীতে আর্থিক অবস্থানুসারে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব আকরামুল হক বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ সময় সহকারী কেন্দ্র সচিব শওকত হোসেন জানিয়েছেন বাকী বিল্লাহকে রিজার্ভ কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকী বিল্লাহকে রিজার্ভ কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে রাখার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, কোন কেন্দ্রে যে কয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহের কোন শিক্ষক ঐ কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে থাকার বৈধতা নেই।

টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র মিত্র বলেন, রাখ-ঢাক করে আসলে লাভ নাই। ঘটনা সত্য। তবে আপনারা যতটুকু শুনেছেন ততটুকুও নয়, আবার একেবারেই যে হয়নি তাও নয়। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, কে টাকা খায়না বলেন?

এ সময় তিনি পাশে বসে থাকা বাকী বিল্লাহকে বলেন, উনারা ফরিদগঞ্জ থেকে দুপুরে আসছে। এখন খাবারের সময়। ওয়ান স্টারে খেলেতো অনেক টাকা লাগবে। তুমি ওনাদেরকে দুই হাজার টাকা দিয়ে দাও। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানই দেখেন, অন্যগুলো দেখেন না? সব কেন্দ্রে এবং প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হয়। রূপসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাচলাকালীন সময়ে গিয়ে দেখেন সাখাওয়াত, মনির ও মাকসুদ নামের তিন জন শিক্ষক বসে থাকে। তারা কীভাবে সেখানে থাকেন?

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুফো ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি আমাকে তথ্যগুলো দেন, আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন,‘বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো এবং বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়