শনিবার, ০১ মার্চ, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ১৮:০৩

এবার চাঁদপুরে শিক্ষক লাঞ্ছিত

এবার চাঁদপুরে শিক্ষক লাঞ্ছিত
রেদওয়ান আহমেদ জাকির

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বরদিয়া কাজী সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

৩০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস চলাকালে শ্রেণি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষক ওই দিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

জানা যায়, লাঞ্ছিত ওই শিক্ষকের নাম চয়ন মজুমদার। তিনি বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষক। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা এলাকায়। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাকিব হোসেন। সে বরদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।

শিক্ষক চয়ন মজুমদার বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ের ওপর পাঠদান করছিলেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে তাঁর সঙ্গে অবাধ্য আচরণ ও বেয়াদবি করলে তিনি তাকে মৌখিকভাবে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী টেবিল থেকে উঠে সকল শিক্ষার্থীর সামেন শারীরিকভাবে তাঁকে (শিক্ষক) লাঞ্ছিত করে শ্রেণিকক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।

এরপর ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ওই দিন তিনি তাঁর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। ম্যানেজিং কমিটি আজ শনিবার বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় তিনি পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে বিষয়টি জানাননি।

চয়ন মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় তাঁর সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এতে তিনি ভীষণভাবে অপমানিতবোধ করছেন ও মান-সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনাও করছেন না। শিক্ষক হয়ে একজন শিক্ষার্থী দ্বারা এভাবে লাঞ্ছিত হবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি ঘটনাটির যথাযথ সমাধান বা বিচারও দাবি করেন ।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবার সূূত্র জানায়, ঘটনাটির পর থেকে সে এলাকায় নেই। তার বাবার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষক বাবা-মায়ের মতোই। সম্মানিত শিক্ষকের অপমান কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা সকলে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই শিক্ষক ঘটনাটির বিচার চেয়ে তাঁর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সুরাহার জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে এখন সভা করছেন। স্থানীয়ভাবেই এটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বিষয়টি আমি আজকে জানতে পেরেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছেন। এখনো এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাননি। পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়