প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০১:১০
যে হাটে প্রতিদিন বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকার শুকনা মরিচ

পদ্মা ও মেঘনা নদী বেষ্টিত চাঁদপুর-শরীয়তপুর জেলার নৌ সীমানার চেয়ারম্যান স্টেশন।
|আরো খবর
এক পাশে শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জের তারাবুনিয়া, বিপরীত দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন। দুই জেলার দুই ইউনিয়ন ঘিরে শরীয়তপুরের চেয়ারম্যান স্টেশন বাজার। নদীর পাড়ে গ্রামীণ জনপদের একটি জমজমাট লঞ্চ, ট্রলার ও খেয়াঘাট।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে এই চেয়ারম্যান স্টেশন সংলগ্ন নদীর পাড়ের হাটে কৃষকরা বস্তায় বস্তায় শুকনা মরিচ নিয়ে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মরিচ নিয়ে কৃষকদের আগমন বাড়তে থাকে। শুরু হয় হাঁকডাক-বেচাকেনা। এভাবেই বৈশাখ মাসজুড়ে প্রখর রোদের মধ্যে জমে উঠে মরিচের এই প্রসিদ্ধ হাট। চরাঞ্চল এলাকার কৃষকেরা এবার মরিচের ভালো ফলন পেয়েছে। সেই সুবাদে এই হাটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মরিচ বেচাকেনা হয় বলে ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের দাবি।
হাটে আসা কৃষক ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীর পাড়ে শত বছরের পুরোনো চেয়ারম্যান স্টেশন হাটের অবস্থান। এক সময় এ হাটে মরিচের দু-চারটি আড়ত থাকলেও বর্তমানে অনেক আড়ত রয়েছে এখানে। একাধিকবার পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয় এ হাট। তবে এ হাটে নৌকা ও গাড়ি দিয়ে মালামাল বহন করা সহজ এবং যাতায়াত খরচ কম। সে জন্যে আশপাশের চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। চৈত্র ও বৈশাখ এ দুই মাস এই হাটে চলে মরিচের ধুম কেনাবেচা। ছবিতে সেই দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে।
ছবি ও প্রতিবেদন : মিজানুর রহমান।