প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২
শাহরাস্তিতে জনতা ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে তদন্ত টিম

শাহরাস্তি উপজেলার জনতা ব্যাংক সূচীপাড়া শাখার অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে ঘটে যাওয়া সিনিয়র কর্মকর্তাদের আটক ও আত্মহত্যা নিয়ে সর্বমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ এপ্রিল ২০২৫ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইন আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরেক সিনিয়র অফিসার রাকিবুল হাসানের আত্মহত্যার পর বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১৫ এপ্রিল থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি টিম কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও চাঁদপুরের কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
|আরো খবর
বুধবার (১৬ এপ্রিল ২০২৫) উক্ত শাখায় গিয়ে তদন্তের অগ্রগতি চোখে পড়ে। ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকলেও অন্যান্য কর্মকর্তার ব্যস্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো। বেলা ১২ টায় শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি আবুল বাসার ব্যাংক পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সার্বিক বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি জানান, অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়টিতে দুদকে মামলা দায়ের করা হবে। এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষ জানান, ঢাকা থেকে টিম এসেছে, তারা তদন্ত করছে। এছাড়াও চাঁদপুর থেকে টিম এসে কাজ করছে। গ্রাহকদের মাঝে কোনো আতংক বিরাজ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের লেনদেন স্বাভাবিক রয়েছে, গ্রাহকদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এদিকে অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে আটক সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইন জেল হাজতে থাকলেও আত্মহত্যাকারী সিনিয়র অফিসার রাকিবুল হাসানের মরদেহ ময়না তদন্তের পর তার নিজ বাড়িতে বুধবার নেয়া হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতেই পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।