প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২৮
বাসটিই তার স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা
বাসটিই তার স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা দোহার সড়কের বাস পরিবহন সমিতির একজন সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।তিনি জানান,নববই দশকে তিনি সর্বপ্রথম একটি বাস দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন। তখন তার আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিল না।বাসটি ক্রয় করে তিনি পণ করেন এ গাড়ির মাধ্যমেই তিনি স্বাবলম্বী হবেন। তিনি তার মেধা, শ্রম ও সততা দিয়ে গাড়িটির চালক ও তার সাহায্যকারীর সহযোগিতায় অক্লান্ত শ্রমের মাধ্যমে তিনি আর্থিক ভাবে বেশ লাভবান হন।দৈনন্দিন আয় থেকে পরিবারের আর্থিক চাহিদা মিটায়ে বাকি টাকা সঞ্চয় করতে থাকেন দু বছর পর সঞ্চিত অর্থ দিয়ে আরেকটি বাস ক্রয় করেন।কয়েক বছর পর দুটি গাড়ির আয়ের থেকে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে এক ভাইকে বিদেশ পাঠান।
|আরো খবর
এরপর তাকে আর পিছন দিকে তাকাতে হয় নাই।প্রবাসীভাই আরো দুই ভাইকে তার কাছে নিয়ে যান। তিন ভাই মিলে অর্থ উপার্জন করে ভগ্নিপতি, ভাগ্নে ও ভাগ্নি জামাইকে তাদের কাছেনিয়ে আসেন।ভাইদের টাকায় গ্রামের বাড়িতে চারতলা বিল্ডিং হয়েছে। ঢাকায় রয়েছে বাড়ি গাড়ি।এছাড়া ঢাকা দোহার সড়কে চলাচল করছে কয়েকটি বাস। ভাইয়েরা প্রবাস জীবন বেছে নিলেও তিনি পরিবহনের ব্যবসা ছাড়েননি। যে বাস গাড়িটি মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবার সাবলম্বী হয়েছেন।
সে বাস গাড়িটি এখন সম্পূর্ণ অচল ও পরিত্যক্ত হলে ও তা তিনি স্মৃতি স্বরুপ তার বাড়ির সম্মুখের মাঠে রেখে দিয়েছেন।