প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০১:৪৮
শ্রীনগরে মৌসুমী ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের একমাত্র জীবিকিার বাহন শাপলা
শ্রীনগরে মৌসুমী ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের সংসার চলে শাপলা বিক্রি করে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা দোহার সড়কে ভ্যানে করে জাতীয় ফুল শাপলা বিক্রয় করছিলেন কামরুল ইসলাম্ । তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি একজন পেশাদার জেলে, খাল বিলে মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে তার সংসার চলে, এখন চলছে বর্ষার মৌসুম। বর্ষাকালে বিলে ঝিলের পানিতে জন্ম নেয় প্রচুর পরিমাণ শাপলা।শাপলা ফুলে ভরপুর আড়িয়াল বিল।বিলেএ দৃশ্য দেখে তার মন ভরে যায়।এছাড়াও তিনি একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ছোট্ট একটি নৌকাতে করে চলে যান বিলের মাঝখানে এরপর শাপলা তুলেন।
|আরো খবর
শাপলা গুলোকে ছোট ছোট আটি বেঁধে সাজিয়ে রাখেন ভ্যানে। এরপর রওনা দেন বিক্রির উদ্দেশ্যে গ্রামের মেঠো পথ ধরে এ সময় পথের দু ধারে অবস্থিত বাড়ির গৃহীনা দাঁড়িয়ে থাকেন শাপলার জন্য তাকে দেখেই ছুটে আসেন তার কাছে শাপলা ক্রয় করতে।প্রতি আটি শাপলা বিক্রি করেন ২০ টাকা দরে। এরপর ছুটে চলে আসেন বাজারে প্রতিদিন ৪০০- ৫০০ টাকা বিক্রি হয় শাপলা । তা দিয়ে সুন্দর ভাবে চলে একমাত্র মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার ছোট্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট সংসার ।তিনি আরো জানান,মাছ ধরতে অনেক কষ্ট সারারাত জেগে মাছ ধরতে হয় তা বাজারে নিয়ে বিক্রি করা কষ্টসাধ্য।মাছ ধরলে শরীরে মাছের গন্ধ থাকে।অন্যদিকে ভোরে ঘুম হতে উঠে ফুরফুরে আবহাওয়ায় শাপলা তুলতে খুব ভালো লাগে শরীর ও থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
যতদিন খাল বিল ঝিলে শাপলা পাওয়া যাবে ততদিন তিনি মাছ ধরা ও বিক্রয় বন্ধ রাখবেন । শাপলা ক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, তরকারি হিসেবে শাপলা তার পছন্দ তাই ২০ টাকা দিয়ে এক আটি শাপলা ক্রয় করলেন।