প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৫:৫৫
কচুয়ায় কোরবানির পশুর চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীদের গলার কাটা
প্রতি বছরের ন্যায় চাঁদপুরের কচুয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মৌসুমি চামড়া ক্রেতাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া কিনতে দেখা গেছে। গত বছরের তুলনায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম কমে যাওয়ায় এ বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১শ থেকে ২শ ৫০ টাকা ধরে চামড়া ক্রয় করেছে। দু’একদিন পর তারা ক্রয়কৃত চামড়া পাইকারদের জন্য লবন দিয়ে মজুদ করে রেখেছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে তারা। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক মানুষ কোরবানীর চামড়া বিক্রির জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। যারা বিক্রি করতে পেরেছেন তারা নাম মাত্র মূল্য পেয়েছেন। আবার অনেকে কাংখিত দাম ও ক্রেতা না পেয়ে মাটিতে পুতে ফেলেছেন।
|আরো খবর
উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আমির হোসেন জানান, তিনি ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকায় একটি গরু ও ১৮ হাজার টাকায় একটি খাসি কিনেছেন। ভালো দাম না পাওয়ায় গত দু’দিন ধরে লবন দিয়ে মজুদ রেখে গতকাল শনিবার গরুর চামড়াটি মাত্র ২শ টাকায় বিক্রি করেছেন। আার ছাগলের চামড়া কেউ না কেনায় তিনি তা মাটিতে পুতে ফেলেছেন।
মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া জানান, কোরবানীর ঈদ এলে বাড়তি মুনাফা পাওয়ার আশায় পশুর চামড়া কিনি। এ বছর দাম না পেয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। তিনি আরো জানান, কোরবানী দাতারা পশুর চামড়ার বিক্রিত সিংহভাগ অর্থই মসজিদ, মক্তব, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ইত্যাদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে থাকে। চামড়ার দামের ধস নামায় ওইসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
একই অভিযোগ মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়ার, তিনি জানান বছরের এই দিনে বাড়তি কিছু টাকা পাওয়ায় আশায় আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে চামড়া কিনেছি। যে দামে চামড়া কিনেছি ঢাকার পাইকাররা এখন অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে বলছে। ভালো দাম না পাওয়ায় এ বছর চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে কোরবানীর পশুর চামড়া।