শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫, ১৪:৫০

ফরিদগঞ্জের কামালপুরে ভাবী-ভাতিজার প্রতারণার শিকার চাচা

স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদগঞ্জের কামালপুরে  ভাবী-ভাতিজার প্রতারণার শিকার চাচা

ফরিদগঞ্জের কামালপুরে

ভাবী-ভাতিজার প্রতারণার শিকার চাচা

স্টাফ রিপোর্টার।। ভাতিজা ও ভাবীর প্রতারণার শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিক জাকির হোসেন। নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামে।

জানা যায়, কামালপুর গ্রামের মৃত শাহজাহানের ছেলে আনোয়ার হোসেন রিপন তার চাচা জাকির হোসেনের মাধ্যমে রোমানিয়া লোক নেওয়ার জন্যে প্রস্তাব দেয়। ভাতিজার কথা অনুযায়ী চাচা জাকির হোসেন

৩ জনকে রোমানিয়া নেওয়ার জন্যে ভাতিজা আনোয়ার হোসেন রিপনকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, তাদেরকে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। ১ জনকেও না নিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করে। জাকির হোসেনের ছেলেকে বিদেশে নেওয়ার জন্যে নগদ টাকার পাশাপাশি ২ লাখ টাকার ১ টি চেক দেওয়া হয় রিপনকে। সেই চেকটিও ফেরত দেওয়া হয়নি। এমনকি আনোয়ার হোসেন রিপন তার নিজ বাড়ি বন্ধক রাখলে সে বাড়িটি টাকা পাওনাদার তাদের দখলে নেওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নেয়। এ খবর শুনে রিপন তার মায়ের সঙ্গে ও চাচা জাকিরের সাথে যোগাযোগ করে। রিপন ও তার মা আনোয়ারা বেগমের পরামর্শে জাকির হোসেন হিমাচল সমিতি থেকে নিজ নামে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে পাওনাদারদেকে টাকা দিয়ে রিপনের বাড়ি রক্ষা করেন। নিজের বসত ঘরের জায়গা না থাকায় ভাতিজা রিপনের নিকট ১ শতাংশ জায়গা চাইলে সে তার চাচার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি জাকির হোসেনের নিকট হতে নেওয়া টাকার দায়ভার তার উপরে উঠিয়ে দেয়।

উল্টো

চাচাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। আর পাওনাদারদের টাকা দিতে না পেরে গার্মেন্টস শ্রমিক জাকির হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন রিপন রোমানিয়া থাকে। সেখানে লোক নেওয়া হবে। আমি ৩ জন লোক সংগ্রহ করে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাতিজাকে দেই। কিন্তু ভাতিজা ৩ জনের ১ জনকেও বিদেশে নেয় নি। এমনকি ভাতিজার বাড়ির লোন থাকায় পাওনাদার বাড়িটি তাদের দখলে নিয়ে যেতে চাইলে ভাতিজা রিপন ও তার মা আনোয়ার বেগম আমার সাথে যোগাযোগ করে টাকা ম্যানেজ করে বাড়িটি রক্ষা করার জন্যে। তাদের কথায় রাজি হয়ে হিমাচল সমিতি থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ির টাকা দিয়ে বাড়িটি রক্ষা করি। এমনকি আমার ছেলেকে বিদেশ নেওয়ার জন্যে নগদ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ২ লাখ টাকার চেক দেই।চেকটিও তাদের কাছে রয়েছে। আমার বড় ভাই ( আনোয়ার হোসেন রিপনের পিতা) মারা গেলে পাওনাদার এসে লাশ দাফন করতে দেয় না। পরে পাওনাদারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বুঝিয়ে ভাইয়ের লাশ দাফন করি। আমরা থাকার মতো জায়গা না থাকায় ভাতিজার নিকট ১ শতাংশ জায়গা চাইলে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। আর পাওনাদারদের টাকার জন্যে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক, কোনো রকম কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছি। এখন পালিয়ে থাকার কারণে সংসার অচল হয়ে পড়েছে। আমার ভাবী ও ভাতিজা যে আমার সাথে এতো বড়ো প্রতারণা করবে তা আমি ভাবতে পারি না। এটা হলো উপকারের প্রতিদান। আমি প্রশাসনের নিকট এর সঠিক বিচার চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়