শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৯

হাজীগঞ্জে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক ছেলে

কামরুজ্জামান টুটুল
হাজীগঞ্জে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক ছেলে
পিতা আক্তার হোসেন ও ছেলে সাকিব হোসেন

জন্মদাতা পিতা আক্তার হোসেন (৫৮) কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে ছেলে সাকিব হোসেন (২৫)। পারিবারিক কলহের জেরে এমন জঘন্ন কান্ড ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার দাবী করেছে। বুধবার (১১ মেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৮ নং ওয়াডর্ডের সর্দার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে হত্যাকাণ্ডের শিকার আকতার হোসেনের (৫৮) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সাবিক পলাতক রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য আটজন। এর মধ্যে ছেলে সাকিব ও তার স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার ফারহানা রয়েছে। ছেলে সপ্তাহে সংসার খরচ দেয় মাসে এক হাজার টাকা । এসব নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ছেলেকে বকা দেয় তার বাবা। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। সেই সময় আমার বকাঝকা পর ছেলে শান্ত হয়ে চলে যায়। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই। এরই মধ্যে ছেলের বউ (সাকিবের স্ত্রী ফারহানা) তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারপর থেকে ছেলে নিজ বাড়ি ও শশুর বাড়িতে থাকা শুরু করে ।

গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফের বাবা ছেলের সাথে ঝড়গা হলে ও পরে আবার থেমে যায়। এর পরে আমি আমার আত্মীয়কে দেখতে বাজারস্থ একটি হাসপাতালে যাই। রাত বারোটার দিকে আমার শাশুড়ি, আমার অন্য ছেলেরা ও মেয়েরা ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ করে আমার স্বামীর চিৎকার শুনে তারা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে সাকিব ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। পরে তারা তাদের বাবাকে (আকতার হোসেন) নিয়ে হাসপাতাল চলে যায় সেখান থেকে কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ছেলে যখন বাবাকে কুপিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় তা দেখেছে আমার মেয়ে। মেয়েই ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে আমাকে জানায়। এ ঘটনায় আমার ছেলের বউ (ফারহানা) জড়িত। সে আমার ছেলের মাথা খারাপ করে পেলেছে। আমি আমার স্বামী হত্যায় ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিচার চাই।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, আহত আকতার হোসেনের শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় রেপার করা হয়। পরে শুনেছি কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মারা যান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়