প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩০
ফরিদগঞ্জে ১৯টি ইটভাটার ১৫টিই অবৈধ
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার ন্যায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এসব ইট ভাটার মধ্যে বেশির ভাগই অবৈধ। এদের নেই কোনো কাগজপত্র। অবৈধভাবে বছরের পর বছর প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে চলে আসলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এমনকি ভাটার মালিকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বাৎসরিক এককালীন মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব ইটভাটা চালিয়ে আসছে বলে একটি সূত্র জানায়। যার ফলে সরকারি আইন অনুযায়ী এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে পুরোপুরিভাবে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু জরিমানা আদায় করে থাকে। ইটভাটা চালানোর জন্যে যে সকল অনুমোদন ও কাগজপত্র থাকার নিয়ম, তার সব কিছু এসব ইটভাটার মালিকদের নেই। এমনকি ইটভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব স্থানে চালানোর নিয়ম নেই, সে নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চলে আসছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন তেমন একটা ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। যেমন উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের মা-রহমত ব্রিকস্ (ইটভাটা) তিন পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও পাকা সড়ক থাকার পরও চলে আসছে। প্রশাসন দুবার অভিযান পরিচালনা করে এই ইটভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে জরিমানা আদায় ও মুচলেকা নেয়ার পরও এখনো সেই ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এভাবে এ উপজেলার ১৯টি ইটভাটার মধ্যে ১৫টি ইটভাটা অবৈধভাবে চলে আসছে। কিন্তু এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মনে হয় প্রশাসন ভুলে গেছে। না হয় এতো দিন এদের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতো।
|আরো খবর
এ ব্যাপারে জেলা ইট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সমিতির মাধ্যমে কাউকে টাকা দেই না। এটা সঠিক নয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে কিছুর কাগজপত্র রয়েছে। কিছু ইটভাটায় কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে। সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব করি না।
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আঃ হান্নান বলেন, ফরিদগঞ্জের ১০টি ইটভাটার কাগজপত্র রয়েছে। বাকি যেসব ইটভাটার কাগজপত্র নেই, ঢাকা থেকে টিম এসে সেগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবে।