প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৮:২১
মানুষের শত্রুতা মাছের সাথে
মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা উদ্ধার। মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা উদ্ধারে মাছ নিধনে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষ দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলা পরিকল্পিত বলে দাবী করছেন খোদ ক্ষতিগ্রস্থ মৎস চাষী নিজে। গত শুক্রবার দিনগত রাতে ঘটনাটি হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের সুদিয়া গ্রামের খাঁন বাড়ির মো. হারুন খাঁনের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
|আরো খবর
ক্ষতিগ্রস্থদের সূত্রে জানা যায়, মো. হারুন খাঁন কুয়েত প্রবাসী। তিনি ছুটিতে দেশে এসে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করে তার ১৫ গন্ডা (৯০ শতাংশ) জমিতে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করেন। তাঁর পুকুরটি স্ত্রী হাওয়া বেগমসহ মেয়েরা দেখাশুনা করেন। শনিবার সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিনের মতো পুকুরে গিয়ে দেখেন পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে রয়েছে। এ সময় তিন তার বাড়ি ও আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে বিষয়টি জানান এবং পরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমনকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে মো. হারুন খাঁন ও তার স্ত্রী হাওয়া বেগম জানান, শনিবার সকালে পুকুরে গিয়ে দেখেন সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। এতে তাদের ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. হারুন খাঁন আরো বলেন, এর আগে গত সেপ্টেম্বর ও চলতি (অক্টোবর) মাসে কে বা কারা আমার খড়ের গাদায় দুই বার এবং রান্নাঘরে একবার আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া আমার বাগানের ৭/৮টি ফলনসহ পেঁপে গাছ কেটে ফেলে এবং অন্যান্য গাছের পেঁপে ছুরি দিয়ে কেটে কয়েক মন পেঁপে নষ্ট করে দেয়।
আগুন ও পেঁপে গাছ কাটার ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর মো. হারুন খাঁনের স্ত্রী হাওয়া বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নং- ৩১১৪/২২) দিয়েছেন বলে জানান তাদের জামাতা শাহরিয়ার রাসেল। রাসেল আরো জানান, আমার শশুরের পরিবারের সাথে অন্য কোন লোকের সম্পত্তিগত বিরোধ নেই। তারপরও কে বা কারা এমন ক্ষতি করে যাচ্ছেন। এতে তার শশুরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। তারা একজনকে সন্দেহ করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এখনো ওই ব্যক্তির নাম বলেন নি। নামটি জানতে পারলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।