প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:২৬
বাসের চাকায় পিষ্ট ৩ যুবক দাফন সম্পন্ন : মামলা দায়ের
গত শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হওয়া ৩ মোটরসাইকেল আরোহীদের সকলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সকলের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। বিকেলে হাজীগঞ্জ থেকে কুমিল্লার চান্দিনা পৌরএলাকার ১ নং ওয়ার্ডে নিহতের লাশ নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। এ সময় এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ নিহতের এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। শুক্রবার দুপুরে একই এলাকার ৩ যুবক নিহতের খবরে ঐ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে রাতেই নিহত সবাইকে ঐ ওয়ার্ডের বেলাশ্বর গ্রামের তাদের স্ব-স্ব পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় নিহত যুবকদের মধ্যে সুজনের মামা খোরশেদ আলম বাদী হাজীগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহন আইনের ২৯৭/৩০৪খ/৪২৭ পেনাল কোর্ট মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে বোগদাদ পরিবহনের সেই বাসের ঘাতক চালক আব্দুর রাজ্জাক(২৫)কে আটক করেছে পুলিশ। আব্দুর রাজ্জাক কুমিল্লার বড়–য়া উপজেলার হালগাঁও গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন,বাসের হেলপার ( সহকারী চালক) রিপন (৩০)। রিপনের ঠিকানা অজ্ঞাত। মামলার বাদী খোরশেদ আলম চান্দিনা পৌর এলাকার বেলাশ্বর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অপর এক মোটর সাইকেলের তিন আরোহী বেলাশ্বর গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম(৩৩).আইয়ুব আলীর ছেলে রাহিম (২৪) ও শাহ আলমের মোঃ আকাশ (২৮)। রবিউল ও আকাশ জানান জানান, তারা মূলত এদিন চান্দিনা থেকে বড়–য়া হয়ে চাঁদপুরের মতলরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান,শনিবার বিকেলে নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে। বাসের পলাতক হেলপাকে আটক করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা এলাকায় বোগদাদ পরিবহনের বাস যার নং (নং- ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-১৬৪৫) অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে রং সাইডে ডুকে পড়ে। এ সময় বিপরীত থেকে চাঁদপুরগামী তিন যুবক বহনকারী মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্টে ল- ১৭-৫২৭৪) বাসের নীচে ডুবে পড়ে। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের বেলাশ্বর গ্রামের হাজী বাড়ির মজনু মিয়ার ছেলে সুজন(২২),তাজুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৮) ও একই গ্রামের মৃধা বাড়ির আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির হোসেন (৩৭) ঘটনাস্থলেই প্রান হারান।
ক্যাপশনঃ ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকা পিছনে দ্বাড়ানো ৩ যুবক (বা থেকে ডানে ) মনির. সোহাগ ও সুজন ধেররায় বাসের চাকায় একত্রে পিষ্ট হয়ে মারা যায়। বেঁচে যাওয়া অপর মোটরসাইকেল আরোহী আকাশের সেলফিতে ছবিটি ঠিক তার আগের শুক্রবার রায়পুরে ঘুরতে এসে তোলা হয়েছে যা এখন সবার জন্য স্মৃতি।