প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৪৬
ফরিদগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে স্কুলগুলো
ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ফাঁটল। ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনার ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। শিক্ষকরা নিজেরাই এই ভবনে শ্রেণি শিক্ষা নিতে ইতস্তত বোধ করছেন। তারপরও কক্ষ সংকট থাকায় নিতান্ত বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষনার অপেক্ষায় থাকা ভবনেই শ্রেণি শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কড়ৈতলী ও দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র।
|আরো খবর
সরেজমিন বৃহস্পতিবার পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একযোগে শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেষ মূহূর্তের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের দপ্তরি এবং শিক্ষকরা নিজেরাই শ্রেণি কক্ষগুলো পরিস্কার করছেন। আড়াইশত শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির কক্ষসহ মোট দুইটি কক্ষ শ্রেণি প্রস্তুত হয়েছে। পুরাতন ভবনটির সবগুলো কক্ষই জরাজীর্ণ। পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভিমসহ বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরেছে। ঝুঁকি থাকা সত্বেও ওই ভবনের কয়েকটি কক্ষে টেবিল বেঞ্চ পরিস্কার করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন জানান, বর্তমান ভবনের প্রাক প্রাথমিকসহ মাত্র দুটি কক্ষ ব্যবহার উপযোগি। পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু দুই কক্ষে স্থান সংকুলান হবে না, তাই বাধ্য হয়েই পুরাতন ভবনের কয়েকটি কক্ষ ব্যবহার করার জন্য পরিস্কার করা হচ্ছে।
অপরদিনে বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই অবস্থা। তাদের নতুন ভবনের কাজ চলায় পরিত্যক্ত ঘোষনার জন্য আবেদন করা ভবনের একটি কক্ষ শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দিলরুবা বেগম বলেন, আগামী ডিসেম্বরে নতুন ভবন আমরা বুঝে পাবো। ততদিন পর্যন্ত প্রায় ২শত শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলানে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে হবে।