প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ১২:১৫
হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব ৫টি পরিবার
বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে পুড়ে ৫ টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভূস্মীভূত হয়ে পরিবারগুলো নি:স্ব হয়ে গেছে, এ সময় আগুনের লেলিহান শিখায় ও ১টি বসতঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। রোববার ১২ মে দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌর এলকার ৯নং ওয়ার্ডের কংগাইশ গ্রামের পূর্বপাড়া কাজী বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন : এ বাড়ির ইদ্রিস আলীর ছেলে মোস্তফা কাজী, খলিলুর রহমানের ছেলে ইউনুস কাজী, চেরাগ আলীর ছেলে জামাল হোসেন ও ইউনুছ কাজী এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আজাদ কাজী। আগুনে শরীফা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নারী আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা যায়, এ দিন দুপুরে ইউনুছ কাজী বসতঘরে আগুন দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ও ওই বাড়ির লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। এর মধ্যে আগুন পাশ্ববর্তী বসতঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে ৪টি বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় আরও একটি বসতঘর আংশিক পুড়ে যায় এবং শরীফা বেগম নামের একজন বৃদ্ধা নারী আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বাড়ীর সবাই নিন্মবিত্ত পরিবারের। সবাই যখন কৃষি কাজে মাঠে ব্যস্ত, ঠিক তখনি আগুনে কেড়ে নিল বসতঘরসহ সব কিছু। এখন ৫ পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন সদস্য মাসুদ হোসেন জানান, গত কদিন আগে সে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তার ভাইভা কার্ড পেয়েছে। কিন্তু তার সনদপত্রসহ সবকিছু সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। তবে পবিত্র কোরআন শরীফ অক্ষত রয়েছে।
এ দিকে খবর পেয়ে অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনসহ প্যানেল মেয়র-২ ও ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ মজুমদার। এসময় পৌর মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরিদর্শনকালীন সময়ে কাউন্সিলর তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, তেল, চিনি, হলুদ, মরিচ, চা-পাতা, চিড়া, মুড়ি ও বিস্কুটসহ শুকনো খাবার তুলে দেন।