বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসেনার মানববন্ধন

বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার বিচার বিলম্বের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ছাত্রসেনা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ সিরাজুল করিম বাছিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরে আলম ফরাজী, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নুরন্নবী মিয়াজী, সদর উপজেলা সভাপতি মোঃ নিশাথ প্রমুখ। আল্লামা নুরুল ইসলাম ফরাজীকে মতাদশগর্ত বিরোধের জেরে ২০১৪ সালে ২৭ আগস্ট পূর্ব রাজাবাজারস্থ নিজবাসায় গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে দেশে সকল নিরাপত্তা বিশ্লেষক, মিডিয়ার কাছে মতাদর্শগত বিরোধ প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। ঠিক সেই সময় পুলিশ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে নিহতের সেজো ছেলে ফয়সাল ফারুকীকে বাদী করে ডাকাতির মামলা সাজায়। পরবর্তীতে সেই মামলার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন মেজিস্টেট (সিএমএম) ৩৩নং আদালতে বাংলাদেশ ইসলামিক ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগরের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ইমরান হুসাইন তুষার বাদী হয়ে আল্লামা শায়ক নুরুল ইসলাম ফরুকীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকারী জামাআত ও উগ্র সালাফী মতাদর্শে বিশ্বাসী ৬ জনক বিবাদী করে কমপ্লেইন পিটিশন (সিআর মামলা নং ৩৮) দায়ের করেন তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান শেরে বাংলা নগরে মামলার সাথে সংযুক্ত করে এই মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেও আজ অবধি কোন গতি পায়নি। ডিবি তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা জুলহাস আখন্দের বিরুদ্বে উগ্র সালাফী মতাদর্শেবিশ্বাসী পিস টিভির আলোচক মুজাফফর বিন মহসিন (যিনি প্রকাশ্য আল্লামা ফারুকীকে হত্যার হুমকী দিয়েছিল)-এর সাথে অভিযোগটি সামনে আসে। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে স্থাানান্তর হয়। সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা কয়েকবার বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করলেও সেই অনুসারে পদক্ষেপ না নিয়ে বরং মাস্টার মাইন্ডকে আড়াল করেই অন্য মামলার আসামী কতিপয় জঙ্গীর নাম দিয়ে চার্জশিট দাখিলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের চাক্ষুস সাক্ষীদের কাছ থেকে শনাক্তকরণসহ বক্তব্য গ্রহণের কোন পদক্ষেপ ও নজরে পড়েনি।