প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪১
ফোন পেলেই অক্সিজেন নিয়ে ছুটছে ‘আলোর মশাল’
কচুয়ায় দিন যত ঘনিয়ে আসছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শঙ্কট তৈরি হচ্ছে অক্সিজেনের। করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, মোবাইল ফোনে-এমন সংবাদ পেলেই অক্সিজেন নিয়ে ছুটে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর মশাল’ সামাজিক যুব সংগঠনের সদস্যরা।
|আরো খবর
নিজেরা করোনা আক্রান্ত হবেন কিনা সেদিকে খেয়াল নেই তাদের। তবে সময়ের প্রয়োজনে সকল বাধা উপেক্ষা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যেন তাদের নেশা হয়ে দাঁডিয়েছে। আগে রোগীকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করতে হবে, তাদের মধ্যে এই মনোভাব কাজ করে সবর্দা কাজ করছে।
আলোর মশাল সামাজিক যুব সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক সাইম মৃধা বলেন, চাঁদপুর জেলায় আমরাই প্রথম অক্সিজেন সেবা প্রদান কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের টিমে যারা কাজ করছেন তারা অধিকাংশ ছাত্র। রাতদিন ২৪ ঘন্টা ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। গত বছর থেকে এই পর্যন্ত ৭৬ জনকে আমরা অক্সিজেন সেবা প্রদান করি।
যে কেউ ফোন করলেই আমরা তাদের বাড়ি পৌছে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে রোগীর অক্সিজেন লেভেল পরিমাপ করে অক্সিজেনের প্রয়োজন বোধ করলেই বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করছি। এর পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এমনকি করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় মেডিসিন ও খাদ্যসামগ্রী তাদের বাড়ি গিয়ে পৌছে দিচ্ছি।
সংগঠনের সহসভাপতি মেহেদী হাসান জানান, আমাদের “হ্যালো মোবাইল” নামে একটি কার্যক্রম রয়েছে। যা থেকে আমরা করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে পরিবার থেকে বাধা আসছে। সকল বাধা উপক্ষো করে আমরা সেবা দিয়ে আসছি।
তারা আরো বলেন, দিন দিন করোনা পরিস্থিতি অবণতি হচ্ছে। ফলে এখন প্রচুর অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের আরো অক্সিজেন সিলিন্ডার উপহার দেন তাহলে আমরা সেসব সিলিন্ডার দিয়ে বিনামূল্যে সেবা দিতে পারবো। কচুয়ার কোন করোনা রোগী যাতে অক্সিজেনের অভাবে মারা না যায় এই প্রত্যয় নিয়ে আমাদের অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম ।
কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা জানান, এই ক্রান্তিকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবী ‘আলোর মশাল’ সংগঠন যে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। তবে করোনা রোগীদের অক্সিজেন দিতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া সকল স্বেচ্ছাসেবীরাই পিপিই মাস্ক পরে সুরক্ষা নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে হবে।