সেই ঘাতক ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি

ট্রাকের নিচে আটকে থাকাবস্থায় ৫ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল চালককে হত্যাকারী সেই ট্রাক চালক গোলাম মোস্তফা ডাবলুর বিরুদ্ধে গত ২৪ ঘন্টায় কোনো মামলা হয়নি।

ঘটনার দিন রাতে নিহত নাসির উদ্দিন মিজির লাশ তার পরিবার লিখিত আবেদন করে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিয়ে গেছেন। ঘটনার দিন শেষে রাতেই নিহতকে তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জের ধানুয়ার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার দিন ঘাতক চালককে মডেল থানা পুলিশ চাঁদপুরের আদালতে তুললে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। নিহত নাসির উদ্দিন ২ সম্তানের জনক। তিনি সড়ক বিভাগে ঠিকাদারী করতেন।

চাঁদপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান, দুর্ঘটনার সাথে সাথে মহামায়া বাজার থেকে আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার,ট্রাক চালককে আটক ও ট্রাকটি জব্দ করি। কিন্তু নিহত মোটর সাইকেল চালকের স্ত্রী সানজিদা বেগম লিখিত আবেদন করে মামলা না করে লাশ নিয়ে গেছেন।

অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবার শেষ পর্যন্ত মামলা না করলে, নিহতের পরিবারের সাথে চালকের আপোষ নিস্পত্তি হলেই আমরা ট্রাক চালককে নিহতের পরিবারের জিম্মায় দিতে পারবো।

ঊল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ভোরে নাসির উদ্দিন মিজি তার নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে কুমিল্লার শাশনগাছার বাসা থেকে চাঁদপুরের ধানুয়া গ্রামের বাড়িতে যাওয়াকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে চাঁনখারপুল এলাকার নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা হাজীগঞ্জমুখী যশোর ট ১১-৪৩৮০ ট্রাকটির ভিতরে মোটর সাইকেলটি ডুকে পড়ে।

এ সময় ট্রাকের নীচে দিয়ে পিছন হয়ে মোটর সাইকেলেটি বেড়িয়ে গেলেও ট্রাকের নীচের কোন একস্থানে আটকে যান মোটর সাইকেল চালক নাসির মিজি। এ অবস্থায় ট্রাক চালক ট্রাকটি না থামিয়ে হাজীগঞ্জের দিকে চালিয়ে আসতে থাকেন। পথিমধ্যে মিয়ার বাজার নামক স্থানে বেশ কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক ট্রাকের নিচে কাউকে আটকে থাকতে দেখে তাদের পরিচিত মহামায়া বাজারের কয়েকজন সিএনজি চালিত স্কুটার চালককে ফোন করে খবরটি দেন।

এরপরেই মহামায়া বাজারের মানুষজন জড়ো হয়ে ট্রাকটিকে আটকিয়ে ট্রাকের নীচ থেকে আটকে থাকা নাসির উদ্দিনকে উদ্ধার করলেও প্রায় ৫ কিলোমিটার টেনে আনার কারনে তিনি মারা যান। এ সময় স্থানীয়রা ট্রাক চালককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।