প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৭:২১
করোনা ওয়ার্ডে খালি বেড ৬টি : রোগীর চাপে বেসামাল ডাক্তাররা
করোনার সংক্রমনে দিশেহারা চাঁদপুর। একের পর এক ভর্তি হচ্ছে পজিটিভ রোগী, মৃত্যুও বাড়ছে অপ্রত্যাশিত ভাবে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৫০টি করোনা বেডের মধ্যে ১৪৪টি বেডেই রোগী রয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খালি রয়েছে আর মাত্র ৬টি বেড। তাও আজ (রবিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভরাট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্যাহ।
|আরো খবর
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলার প্রধান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আজকের পর চাঁদপুর সদর হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য আর কোন বেড খালি থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। তখন নিরুপায় হয়ে রোগীদের মেঝেতে বেডের ব্যবস্থা করতে হবে।
তারপরও যদি রোগী বেড়ে যায় তখন কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিভিল সার্জন বলেন তা স্বয়ং আল্লাহই ভালো জানেন। চাঁদপুরের অবস্থা ভালো নয়। জেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলা সদরেও রোগী বাড়ছে। রোগীর অত্যাধিক চাপে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গতকাল বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ছিলো মৃত্যুর মিছিল। করোনায় সংক্রমনে সিরিয়াল মৃত্যু ঘটে হাসপাতালটিতে। ডাক্তাররা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালালেও রোগীর ফুসফুসে সংক্রমন হয়ে যাওয়ায় অক্সিজেন সাপোর্টেও কাজে দেয়নি। ছটফট করতে করতে বিদায় নিচ্ছে করোনা ওয়ার্ডের রোগীরা।
চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে সিভিল সার্জন ইতোমধ্যেই উপজেলা হাসপাতালগুলোতে পৃথক নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে বলা হয়, গুরুতর অসুস্থ না হলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
যদি উপজেলা হাসপাতালগুলোতেও বেড খালি না থাকে তবে চাঁদপুর পৃথক ফিল্ড হসপিটাল গঠন করতেই হবে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। তিনি চাঁদপুরের মানুষকে আবারো অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে আপনারা ঘরে থাকুন। ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলুন। বিশেষ কাজে বাইরে বের হলে সেফটি মাস্ক পড়ুন।