শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২১, ১৫:৪৯

কোরবানির পশুর সব বর্জ্য ঈদের দিনেই অপসারণ চাঁদপুর পৌরসভার

মোঃ আবদুর রহমান গাজী

চাঁদপুর পৌরসভার কোরবানির পশুর বর্জ্য ঈদের দিনেই অপসারণ করা হয়েছে। ওইদিন বিকেলের মধ্যেই ২১ জুলাই বুধবার শহরের বর্জ অপসারণ দেখে পথচারীরা চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

চাঁদপুর পৌরসভার বিশেষ টিম টানা ৮ ঘণ্টা শহরের অলিগলি ঘুরে কোরবানির পশুর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব বর্জ্য অপসারণ করেন।

চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার আতাউর রহমান মামুন জানান, অনেকেই বলেন কোরবানির পশু কোথায় জবাই হবে এবং কোথায় বর্জ্য ফেলা হবে, সেসব নিয়ে পৌরসভার মাথা ঘামানোর কী প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে এ কারণে যে জনগণের বেশির ভাগই পরিবেশ সম্পর্কে অসচেতন। আবার অনেকে সচেতন হয়েও নিজের বাড়ি ও জমি বাঁচিয়ে সরকারি জমি তথা সড়কের ওপর পশু জবাই করে থাকেন। কাজটি তারা শুধু কোরবানির সময় করেন না। সারা বছরই করে থাকেন। কোরবানির সময় বাড়তি উদ্বেগের কারণ হলো, একসঙ্গে অনেক বেশি পশু জবাই করা হয় এবং এর বর্জ্যের পরিমাণও অনেক বেশি। সড়ক-মহাসড়কে পশু জবাই করলে দুগ্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ হয়।

বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোগের বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ তালুকদার জানান, আমি এ শহরে প্রায় ৩০ বছরের উপর বসবাস করছি। এর আগে আমার নজরে এতো তাড়াতাড়ি কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে দেখিনি। ঈদের দিন সন্ধ্যায় দেখি রাস্তার ওপর ব্রিলিচিং ছিটানো হচ্ছে। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোঃ এমরান হোসেন গাজী জানান, বিকেলে দেখি পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ট্রাক বোঝাই করে বর্জ্য অপসারণ করে নিয়ে যাচ্ছে না। কোড়ালিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান বেপারী বলেন, এতো দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। সত্যিই মেয়র প্রশংসার দাবিদার।

কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তারা বর্জ্য অপসারণের পুরো কাজটি সরেজমিনে তদারক করেন। পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার নামাজ শেষেই বাসাবাড়িতে কোরবানির গরু-ছাগল জবাই শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকাতে কোরবানি শেষে পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে রাখেন পৌর নাগরিকেরা। এদিকে বেলা ১০টা থেকেই পৌর কর্তৃপক্ষ শুরু করেন পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ। পৌরসভার ১৭৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় সড়কের পাশে, বাসাবাড়ির সামনে ফেলে রাখা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নামেন। এই বর্জ্য অপসারণের কাজে ৮টি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের ছিলো ৬টি ট্রাক। এ বিশেষ কাজের জন্য মেয়র সাহেব আরো ২টি ভাড়া করে দিয়েছেন।

কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান দর্জি জানান, বর্জ্য অপসারণের পরই বর্জ্য ফেলে রাখা স্থানে ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সারা শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করা হয়েছে এবং পরদিন (বৃহস্পতিবার) কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নামেন তারা। মেয়র সাহেব বলেছেন ১৮ ঘন্টার মধ্যেই বর্জ অপসারণ করা হবে। কিন্তু আমাদের পৌর সভার পরিচ্ছন্ন কর্মী দের বিশেষ টিম ৮ ঘন্টার মধ্যেই বর্জ অপসারণ করে ফেলেছেন। পৌর নাগরিকরা এখন অনেকটা সচেতন হয়েছে। তাই এ বর্জ সঠিক সময়ের আগেই অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়