সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের পর মারা গেছেন শাহরাস্তির মুন্না

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীসহ ৪ জন নিহতের পর একই বাস চালক মারুফ হোসেন মুন্না (২৪) মারা গেছেন। দুর্ঘটনার দিন বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় মারা গেছেন। গত সোমবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর অদূরে সাভারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলা থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চৌধুরী। নিহত মুন্না শাহরাস্তি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। সে মিরপুর দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় থাকতো।

এ দিন বিকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্না মারা যায়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ জন। অপর নিহতরা হলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পূজা সরকার, প্রকৌশলী কাউসার আহম্মেদ ও পরমাণু শক্তি কমিশন স্টাফ বাসের চালক রাজিব হোসেন। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এ দিকে শাহরাস্তি উপজেলায় বোয়ালিয়া নামে কোন গ্রাম নেই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে মেহের উত্তর ইউনিয়নে বরুলিয়া নামক একটি গ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মান্নানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এমন কোন তথ্য জানা নেই এবং এ বিষয়ে তিনি কোন ম্যাসেজ পাননি।

জানা গেছে, গত রোববার (৫ জুন) সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর সাভারের বালিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীসহ ঘটনাস্থলে চারজন নিহতসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এরপর ওই দিন বিকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালক মারুফ হোসেন মুন্না মারা যায়। এ ঘটনায় হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক ফজলুল হক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

শেরে বাংলা থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চৌধুরী রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় একজনের মারা গেছেন বলে খবর পাই। এরপর পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল করে মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন ওই বাস চালকের নাম মারুফ হোসেন মুন্না। তিনি চাঁদপুর জেলার শহরাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে।

এদিকে ঐ সড়ক দুর্ঘটনার একটি সিসি টিভির ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, (৫ জুন) সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কুষ্টিয়া থেকে গরুবোঝাই ট্রাক ও সেইফ লাইন নামের একটি বাস যাচ্ছিল। সেইফ লাইনের বাসটি হঠাৎ বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এরপর ডান পাশে থাকা গরুবোঝাই ট্রাকটিকে সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে চলে আসে। পাশে জায়গা না থাকায় ট্রাকটিও সড়ক বিভাজকের ওপরে উঠে আরিচামুখী লেনে চলে আসে। এ সময় আরিচামুখী লেনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি স্টাফ বাসের সামনের দিকে সজোরে ধাক্কা দেয় সেইফ লাইনের বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।