প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ২০:৫১
আসুন, করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই-২
‘করোনায় সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনি করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় ছোট-বড় কী কাজ করতে চান কিংবা কী বলতে চান?' চাঁদপুর কণ্ঠের এমন প্রশ্নে নিম্নোক্ত নেতৃবৃন্দ যা বললেন--
|আরো খবর
লুকোচুরি বন্ধসহ আমাদেরকে কঠোর হতে হবে : আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন
চাঁদপুর কণ্ঠের উপরোক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাবসায়ীদেরকে লুকোচুরি বন্ধ করতে হবে। লকডাউনে আমরা হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারের ব্যবসায়ীদেকে অনুরোধ করে দোকান বন্ধ করাই, পূর্ব বাজার না যেতেই দোকান খুলে ফেলে। এ জাতীয় কাজ বন্ধ করতে আসছে লকডাউনে আমরা আরো কঠোর হবে।
বিগত দিনে আমি প্রায় ৭০/৭৫ হাজার মাস্ক বিতরন করেছি। নগদ টাকা,খাদ্য সহায়তা,হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনা রোধে সচেতনামূলক লিফলেট বিলি করা হয়েছে ১ লক্ষটি। সরকারি বরাদ্ধের বাইরে আমার নিজের বরাদ্ধ, আমার পরিবারের বরাদ্ধসহ নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আমার গাড়িতে সবসময় খাদ্য সহায়তার প্যাকেট রাখা থাকে। পৌরসভার নাগরিক কিন্তু দুস্থ অসহায় এমন লোকেরা তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে দেখা করলেই আমি খাদ্য সহায়তার ব্যাগ দিয়ে দেই। যা সামনের দিনগুলিতে অব্যাহত রাখা হবে। আবার যারা অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল তাদেরকে একই প্রকৃয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ৫শ টাকা করে দেয়া হচ্ছে ও হবে। একইভাবে যারা বেশি অস্বচ্ছল তাদেরকে ১ হাজার টাকার অর্থসহায়তা দেয়া হচ্ছে।
ঈদের পরের লকডাউনের মধ্যে বিতরনের জন্য ৫০ হাজার মাস্ক তৈরি করা আছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে পৌরভবনের মূল গেইটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে একজন পৌর কর্মচারী সবসময় থাকে। এ ছাড়া মূল ফটকের পাশে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখা আছে।
পৌর পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলকসহ যারা পৌরসভার সেবা নিবেন তাদের মাস্ক ছাড়া গেইটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। সামনের দিনগুলোতে একই প্রকৃয়া অনুসরণ করা হবে। আমরা পৌরসভার প্রতিটি অলিগলি, ড্রেন, ডোবাসহ সকল স্থানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে মশক নিধন স্প্রেসহ জীবানু নাশক স্প্রে করা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসছি। হাজীগঞ্জ বাজারে আসা লোকদের মাঝে আমরা হাজার মাস্ক বিতরন করেছি।
ঈদের পর পর মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনে আমরা ব্যান্ড পার্টি নিয়ে পৌর এলাকায় গনসচাতনতা সৃষ্টি করা হবে। স্বাস্থ্য বিধি মানতে এই সময়টা আমরা আরো কঠোর হবো। এ জন্য কেউ রাগ করবেন না। সবাই সচেতন হবেন তবেই জীবন বাঁচাবে।