প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:১০
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধের মধ্য রাস্তায় গর্ত : ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা
হাইমচর উপজেলার সাবু মাস্টারের মোড়ের দক্ষিণ পাশে ওয়াপদা খালের উপরে ব্রীজ সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ রাস্তার মাঝখানে দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ন গর্ত। যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্রঘটনা।এলাকার সাধারণ সচেতন জনগন গাড়ী চালকদের গর্ত সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য লম্বা কাঠের মাথায় লাল কাপড়(বিপদ সংকেত) বেঁধে গর্তের দাড় করিয়ে রেখেছেন। যাতে দূর থেকে দেখে গাড়ী চালকরা সর্তক হয়ে গাড়ী চালান।
|আরো খবর
চাঁদপুর পুরান বাজার থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত বেড়ীবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ২০১৮ সালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বেড়ীবাঁধটি উদ্ভোদন করেন।একটা সময় চাঁদপুর জেলার সকল মহলের দাবী ছিলো চাঁদপুর পুরান বাজার থেকে চরভৈরবী লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত বেড়ীবাঁধ সহ মেঘনা নদী বাঁধ।মেঘনা নদীর করালগ্রাস থেকে চাঁদপুর জেলাকে রক্ষা করার প্রয়োজনবোধ থেকেই চাঁদপুর জেলাবাসীর প্রানের দাবী ছিল সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধ ও মেঘনা নদীর বাঁধ।
জনমনে ভয়, ২০১৮ সালে উদ্ভোদন করা বেড়ীবাঁধ রাস্তা যদি দু-তিন বছর না যেতেই এই অবস্থা হয় তবে বিগত বছর গুলোর মতো আকস্মিক বর্ন্যা অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় দূর্ঘটনার আশংকাতো অনিশ্চিত নয়।তাছাড়াও জনমনে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।তারা মনে করছে,নিম্ন মানের কাজ হয়েছে কি না তা এখনি সঠিক তদন্ত করা দরকার।
গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ এ দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধে ছোট বড় গর্ত শিরোনামের প্রায় দেড় দুই মাস পর কিছু লোক দেখানো গর্ত ভরাট করেছে ঠিকাদার কতৃপক্ষ।এরপর গত ১৩ অক্টোবর ২০১৮ তে দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধে লোক দেখানো গর্ত ভরাট শিরোনামের পর থেকে এই পর্যন্ত চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধের কোন দৃশ্যমান সংস্করণ করা হয় নি।
বর্তমানে চাঁদপুর পুরান বাজার থেকে চরভৈরবী লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত বেড়ীবাঁধটিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক ছোট বড় গর্ত সহ বেড়ীবাধেঁর অনেক জায়গা দেবে যেতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দেবে যেতে দেখা গেছে চাঁদপুর পুরান বাজার থেকে হরিনা ফেরিঘাট পর্যন্ত বেড়ীবাঁধ রাস্তা।
তাই,সচেতন মহল সহ বেড়ীবাঁধ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের দাবী যতদ্রুত সম্ভব লোকদেখানো গর্ত ভরাট না করে স্থায়ীভাবে সঠিক তদারকির মাধ্যমে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ীবাঁধের সংস্করণ করা হোক।