প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৩২
ফরিদগঞ্জে মিথ্যা মামলার শিকার এক প্রবাসী পরিবার
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক মামলাবাজ চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই মামলাবাজ চক্রটি সুযোগ বুঝে অসহায় ও সহজ সরল লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে এলাকা ছাড়া করে বিশাল অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মো: জুয়েল, পিতা আব্দুস সাত্তার নামের এক মামলাবাজ চক্রের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রুপসা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো: রাছেলের পরিবার। শুধু তাই নয় মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও হয়েছে ঐ প্রবাসী পরিবারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের আলোকে সাহেবগঞ্জে মামলার বাদী জুয়েলের বাড়িতে গেলে, সে সাংবাদিকদের আগমনের কথা শুনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে তার স্ত্রী শাহিনা বেগমের সাথে মামলার বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। অন্যদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখিত ১নং সাক্ষী রনির সাথে দেখা করতে গেলে তিনিও সংবাদকর্মীদের আগমনের কথা টের পেয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সাহেবগঞ্জ গ্রামের মহসিন,, শামসুর রহমান, বাবুল খলিফা, হাজি শামসুল আলম, ফারুক আহমেদসহ আরো অনেকেই জানান, এই মামলাবাজ চক্রটি বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এছাড়া তারা জানান, প্রবাসী রাসেলের পিতা নেছার আহমেদ, রাসেলের স্ত্রী জুমা বেগম, বোন শাহিন আক্তার, রাসেলের মা সলেমা বেগমের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এছাড়া মামলায় উল্লেখিত ১ নং সাক্ষী মো: রনি আহত হওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তাহা সব মিথ্যা। রনি কখনো হাসপাতলে ভর্তি হয়নি, তাকে আমরা প্রতিনিয়ত বাড়িতেই দেখি।
অন্যদিকে মামলায় উল্লেখিত প্রধান আসামি নেছার আহমেদ গংরা, বাদী মো: জুয়েলের হুমকি ধমকির কারণে বাড়িছাড়া। তার অসুস্থতা জনিত কারণে কথা বলতে না পারার কারণে তার ছেলে প্রবাসী রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মো: জুয়েল মামলাবাজ চক্রের সদস্য। মামলায় উল্লেখিত প্রধান সাক্ষী মোঃ রনি এদের সাথে কখনই আমাদের কোন রকম সমস্যা হয়নি। এটা সম্পূর্ণরূপে একটি মিথ্যা মামলা। আমাদের এলাকায় এই মামলাবাজ চক্রটি বিভিন্ন জনের নামে কমপক্ষে ত্রিশটি মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদা দাবি করছে। আমাদের কাছ থেকেও মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। আমরা কোনভাবেই রাজি হই না বলে, তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আমার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের ঘরটি তালা বদ্ধ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ মেম্বারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে এ ধরনের কোন মারামারি হয়েছে কিনা সেটা আমি জানি না এবং কেউ আমাকে বলে না। কিন্তু একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। অন্যের মারফতে জেনেছি মামলাটি সম্পূর্ণরূপেই হয়রানিমূলকভাবে করা হয়েছে।