শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫৮

বিজয়ের ৫০ বছরে এসে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই : মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ ভূঁইয়া

বিজয়ের ৫০ বছরে এসে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই : মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ ভূঁইয়া
মিজানুর রহমান

আমরা ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপন করছি। আজকের এই দিনটি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আপনা-আপনি আসেনি, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদেরকে অর্জন করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় ভারত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ শত্রুদের দখল থেকে মুক্ত হয়। সেদিন যেমন বিজয়ের উল্লাস ছিল, তেমনি আমাদের হৃদয় ভরা ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের হারানোর বেদনা, যারা যুদ্ধের মাঠে আমাদের সাথী ছিলেন। তাই, প্রতি বছর যখন এই দিনটি আসে, তা আমাদের বিজয়ের অপার আনন্দ দেয় এবং একই সাথে আমাদের হৃদয়কে বেদনায় পীড়িত করে।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। যা চেয়েছি তা থেকে বেশি পেয়েছি। এমন কথা জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া। বর্তমানে তার বয়স ৭৫ বছর। যুদ্ধকালীন সময়ে ছিলেন টগবগে তরুণ এবং সুদর্শন ও সুদাম দেহের অধিকারী। যাতায়াত পথে দেখাতেই কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করতেই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ভূঁইয়া জানালেন শারীরিকভাবে তিনি কিছুটা অসুস্থ।

বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তিনি।১৯৬৪-৬৫ সালে আনসারে চাকরি করার সুবাদে তার প্রশিক্ষণ নেয়া ছিল আগেই। তৎকালীন সময়ে তার আনসার অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন শাহজাহান সাহেব। যুদ্ধের সময় নিজ এলাকায় চলে এসে চাঁদপুর সদর উপজেলা ১০ নং সাখুয়া(লক্ষ্মীপুর) ইউনিয়নের বহরিয়া জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে সহপাঠীদের নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য বাঁশের লাঠি ছিল তাদের একমাত্র হাতিয়ার। রাইফেল না থাকায় বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তখন ছিল তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি। দুলালের ভাই নসু, রৌশন বেপারী, মামুন সহ অনেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলেন তারা।

তিনি বলেন আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই, যা চাইছি তা থেকে বেশি পেয়েছি। এক সরকার আমাদের মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। আরেক সরকার সুযোগ-সুবিধা ভাতা বৃদ্ধি করেছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যারা বেঁচে আছে তাদের ভালো রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ভালো রেখেছে। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়