প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২৮
চাঁদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৭৯নং হারিচাইল-হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় অধিবাসী খোরশেদ আলী পাটওয়ারী তার দুর্নীতির বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালকের (প্রাথমিক শিক্ষা) নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কতৃক স্বেচ্ছাচারিতা মূলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ও সহ-সভাপতি মহিন উদ্দিন শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। বিধিমোতাবেক সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদত্যাগ করলে কমিটি বাতিল বলে গণ্য হয়।
উক্ত বিধির কোন তোয়াক্কা না করে একটি রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংকে জমা দিয়ে লিটন নামের এক সদস্যকে সভাপতি দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক, রহিমানগর শাখায় বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর থেকে স্লিপ ৭০ হাজার এবং রুটিন মেনটেইনেন্স ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় নানান ফল গাছ কেঁটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওই অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক স্থানীয় অধিবাসী হওয়ায় কিছু স্বার্থান্বেষী লোকদের হাত করে প্রভাব বিস্তার করে চাকরি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও উপ-পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ হওয়া সত্তেও অদ্যাবদি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে তার অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন অনিয়মের আশ্রয় নেননি বলে দাবী করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।