বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট ৯০ যানবাহনে তল্লাশি।। ১২ মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬ গাড়ি জব্দ
  •   হরিণা থেকে দু মাদক ব্যবসায়ী আটক
  •   কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ জনের তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৪২

বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

টাইফয়েড টিকা প্রদানে ২০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ

কামরুজ্জামান টুটুল।।
টাইফয়েড টিকা প্রদানে ২০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ
হাজীগঞ্জের বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাত তোলা এ সকল শিক্ষার্থী নিবন্ধন ফি ২০ টাকা করে দিয়ে টাইফয়েডের টিকা গ্রহণ করেছে। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

সরকারিভাবে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হলেও নিবন্ধনের নামে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে নিয়েছে। প্রায় পৌনে ৪শ' শিক্ষার্থীর মধ্যে অল্প ক'জন বাদে সবাই উক্ত টিকা পেয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের কাছে এ টাকা দিয়েছে বলে বহু শিক্ষার্থী চাঁদপুর কণ্ঠকে জানায়। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সোমবার (২৭ অক্টোরব ২০২৫) স্কুল ক্যাম্পাসে টিকা প্রদানকালীন সময় প্রতি শিক্ষার্থী থেকে গুণে গুণে এ টাকা গ্রহণ করেন সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম। নিবন্ধন করে দেবার জন্যে তিনি এ টাকা নিয়েছেন বলে মুঠোফোনে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান। এ বিদ্যালয়ে প্রায় পৌনে ৪শ' শিক্ষার্থী রয়েছে।

সরজমিনে বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কানায় কানায় পূর্ণ হলেও কোনো শ্রেণীশিক্ষক ক্লাসে নেই। গড়ে সকল শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা ২/১ জন বাদে সবাই টিকা দিয়েছে ও কামরুল স্যার ২০ টাকা করে নিয়েছে বলে জানায়। একইভাবে একই বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের বাইরে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তারাও কামরুল স্যারকে ২০ টাকা করে দিয়েছে টিকার জন্যে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কামরুল ইসলাম জানান, সবাই তো টিকা দেয়নি, আমি কম্পিউটারে নিবন্ধন করে দিয়েছি, তাই টাকা নিয়েছি। বিদ্যালয়ের ক্লাস না করে সরকারি ল্যাপটপ ব্যবহার করে অফিস কক্ষে বসে বসে নিবন্ধন করেছেন এমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাসাতে কাজ করেছি। 'চাকুরির সময়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করবেন কেনো' এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আর করবো না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা জানান, বাইরে নিবন্ধন করলে কম্পিউটারের দোকানে ৫০ টাকা করে নেয়। কামরুল নিবন্ধন করে ২০ টাকা করে নিয়েছে। সহকারী শিক্ষা অফিসার (বাকিলা ক্লাস্টার) মোসাম্মৎ রাবেয়া আক্তার জানান, বিষয়টি আমি জানতাম না, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়