প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫, ২২:০৬
শিক্ষকদের ছুটি, বদলি, পদোন্নতিসহ সকল দাপ্তরিক কাজে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাউছারের বদলি

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. কাউছারকে বদলি করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন স্মারক নং ৩৮.০১.১৩০০.০০০.১৯.০২৯.২২-১০৪০/৬ তারিখ ১২ মে স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে তাকে কচুয়া থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একই পদে বদলি করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসে লোকবল কম থাকায় মো. কাউছার একাই শিক্ষকদের ছুটি, বদলি,পদোন্নতিসহ সকল দাপ্তরিক কাজ করতেন।
|আরো খবর
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, কাউছার টাকা ছাড়া কোনো কাজ করতেন না। সব শিক্ষক ছিলো তার কাছে জিম্মি । একাধিক শিক্ষক জানান, কাউছার শিক্ষকদের নিকট থেকে ছুটি, বদলি ও পদোন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রে টাকা নিতেন। তাকে টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকদের হয়রানি করতেন। কাউছার অফিসে বসে শিক্ষকের নিকট থেকে ঘুষ নেওয়া ও ধূমপান করতেন। এমন একটি ভিডিও বিভিন্ন শিক্ষকদের মোবাইলের মাধমে নেট জগতে ভাইরাল হয়েছে । তার পূর্বের কর্মস্থল হাজীগঞ্জ থেকেও দুর্নীতির দায়ে বিভাগীয় মামলা এবং শাস্তিমূলক বদলি হয়েছিলেন কচুয়ায়। কচুয়া থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তার বদলিতে কচুয়ার সকল শিক্ষক স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছেন এবং আনন্দিত হয়েছেন। একই সাথে কাউছারের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । এ সব অনিয়ম ও ঘুষের টাকার বিষয়ে কাউছার বলেন, আমি কারো নিকট থেকে কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি।