প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:০২
ভুল হয়ে গেছে, মাফ করে দেন : অভিযুক্ত সুপারভাইজার
ভোটার অন্তর্ভুক্তির একটি ফরমের দাম এক হাজার টাকা!

ফরিদগঞ্জে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির ফরম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা এবং মান্দারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই দুই শিক্ষক এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজে সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্রের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে সরকারিভাবে বিনা খরচে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই দুই শিক্ষক তথ্য হালনাগাদ ফরম বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো নিন্দনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম।
নতুন ভোটার হওয়ার লক্ষ্যে ভোটার তালিকার তথ্য হালনাগাদ করার জন্যে তথ্য সংগ্রাহক সহকারী শিক্ষক আবু সায়েদের কাছে ফরম চাইলে তিনি ফরমপ্রতি ১ হাজার টাকা দাবি করে বলেন, “টাকা ১ হাজার দিলে আমি স্যারকে বলে ফরম এনে দেব। আমি নামাজ পড়ে এসেছি, মিথ্যা কথা বলবো না, সুপারভাইজার বলছে কালকে ফরমেরলাই যাইবো। প্রতি ফরমে টাকা ১হাজার করি।''
নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্যে ফরম চাইলে এমনভাবেই ভুক্তভোগীর কাছে টাকা দাবি করেন মান্দারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সায়েদ। ভুক্তভোগীর সঙ্গে মুঠোফোনে এমন কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সায়েদ বলেন, টাকা নেওয়ার কথা তাকে বলেছেন সুপারভাইজার হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা। টাকা নেওয়ার বিষয়ে অপর একটি মুঠোফোন রেকর্ডের সূত্রে জানা যায়, তথ্য সংগ্রাহক আবু সায়েদকে টাকা নিতে নির্দেশ দেন সুপারভাইজার নাজমুল হুদা।
অভিযুক্ত সুপারভাইজার নাজমুল হুদা বলেন, “ভুল হয়ে গেছে, মাফ করে দিন। আমি আপনার সঙ্গে দেখা করবো।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রায়হান আরেফিন বলেন, “টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার সহকর্মীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি, তাদের তলব করেছি। পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”