শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪১

মতলবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১৪ দোকান পুড়ে গেছে

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকারও বেশি

জি এম আব্দুল কাদির।।
মতলবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১৪ দোকান পুড়ে গেছে

মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে ও আরও কয়েকটি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকারও বেশি বলে ফায়ার সার্ভিসের কাছে ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যে জানা গেছে।

শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল ২০২৫) সাড়ে সাতটার দিকে নবীরের হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে । মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৩ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ১৪ দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং আরও বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে অনিল চন্দ্র সরকারের কামনা ফার্মেসী, নবীর হোসেনের হার্ডওয়্যার, এস এস এন্টারপ্রাইজ, আরএফএল ডিলার, মুক্তার এন্টারপ্রাইজের মুদি, সম্ভুনাথ মজুমদারের কুমিল্লা মিষ্টি ঘর, হক ফার্মেসীসহ পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স,পাইপ ফিল্টার, কনফেকশনারি সামগ্রীর দোকান রয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের সব দোকান মালামালে ভরপুর ছিল। দোকান ও মালামালসহ আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার উপরে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পুরা শেষ হয়ে গেলাম। আমাগো পুঁজি ও জীবনের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। আমরা সরকারি সাহায্য কি পামু?

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ হোসেন জানান, চাঁদপুর ও মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আমরা আসার পর ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফার্সেমী, টিনের দোকান, হার্ডওয়ার, মুদি দোকান, ফলের দোকান, আরএফএল ডিলার ,স্বর্ণের দোকানসহ ৮/১০ টির মতো দোকান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আরও বড়ো বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। স্থানীয়রা কার্যকর অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসন সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন সাড়ে ১১ টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়