শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৯

কচুয়ায় লাম্পি স্কিন রোগে ২ শতাধিক গরুর মৃত্যু

কচুয়ায় লাম্পি স্কিন রোগে ২ শতাধিক গরুর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

কচুয়ায় লাম্পি স্কিন রোগে ২ শতাধিক গরু মারা গেছে। এ ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে আরও কয়েক হাজার। এ রোগে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কৃষক ও খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে উপজেলার পশুর হাটগুলোতে গরু বেচাকেনায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

কচুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ‌ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলায় মোট গরুর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩১২টি, ১৭০ টি দুগ্ধ খামার ও গরু মোটাতাজাকরণ ১২৬টির মতো।

উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। সব ইউনিয়ন থেকেই লাম্পি স্কিন রোগে গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ রোগে বেশির ভাগই বাছুর আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাওকাত হোসেন সুমন জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। এ রোগ সাধারণত মশা ও মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় বা সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বলে সুস্থ হতে সময় লাগে। মশা ও মাছি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। যার জন্যে ব্যাপক জনসচেতনতা দরকার।

কচুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। প্রাদুর্ভাব কমাতে সুস্থ অবস্থায় এ রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। দুঃখের বিষয়, কচুয়ায় রোগটিতে অনেক প্রাণী আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টার মতো চিকিৎসা দিচ্ছে, এ কয়েক মাসে শতাধিকের ওপর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু মারা যায়। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় শরীরের কোনো কোনো স্থান ফুলে উঠে এবং গোটা গোটা দেখা গেলে এ অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

উজানী গ্রামের প্রবাস ফেরত মিজানুর রহমান জানান, আমি ২৪ বছর প্রবাসে থেকে দেশে এসে ৪টি গরু কিনে খামার করেছি। এর মধ্যে ১টি গরু ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

আরেক খামারী মির্জা সুরুজ মাস্টার জানান, আমার দুটো গরু ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হলে আমি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে চিকিৎসা অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাই । এর মধ্যে একটি বাছুর গরু মারা যায়, আর একটি সুস্থ হয়ে যায়।

এছাড়া একই গ্রামের কাঠমিস্ত্রী নজরুল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাকির, ফয়েজসহ অনেকের একটি করে গরু লাম্পি স্কিন রোগে মারা যায়। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়