মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২২:১৬

ইব্রাহিমপুরে মাদক, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি ও সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা সভা

মাদকাসক্ত শুধু নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না বরং রাষ্ট্র ও সমাজকেও ক্ষতবিক্ষত করছে : ওসি মোহাম্মদ বাহার মিয়া

ধর্মীয় নীতি আদর্শ চর্চা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে : শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে 'মাদক, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৬ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে ইব্রাহিমপুর ঈদগাহ বাজার বাসস্ট্যান্ড মাঠে ইউনিয়নের সচেতন ওলামা ঐক্য পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ জয়নাল আবেদীন।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদক, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। মাদকসেবীদেরকে শুধু পুলিশ আটক করলেই এর স্থায়ী সমাধান হবে না। মাদক নির্মূলে স্থায়ী সমাধান করতে হলে সমাজের প্রত্যেকটি পরিবারের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। মাদক আমাদের সমাজে ক্যান্সারের আকার ধারণ করেছে। এই ক্যান্সার থেকে আমাদের সমাজকে মুক্ত করতে হলে ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলা জরুরি।

তিনি বলেন, ধর্মীয় নীতি আদর্শ চর্চা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে মাদক প্রবেশ এবং মাদকের সকল ট্রানজিট বন্ধ করতে পারে এবং এর সাথে আমরা সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে পারি, তাহলেই মাদক নির্মূল হবে। আমরা আমাদের সন্তানদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে ছোট থেকেই তদারকি করতে হবে। তবেই মাদকমুক্ত সুন্দর একটি সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব।

ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন সচেতন ওলামা ঐক্য পরিষদ নেতা মুফতি আব্দুল কাদিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ বাহার মিয়া।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদক নেই। মাদককে আমরা একেবারে নির্মূল করতে পারবো না, কিন্তু কন্ট্রোল করতে পারবো। মাদক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বপ্রথম চাই আপনাদের সহযোগিতা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। মাদকের ক্ষেত্রে আমরা থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স। সে যেই হোক, কোনো ছাড় নেই। সে রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক কিংবা সমাজের প্রভাবশালী হোক মাদকের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় হবে না। কোনোপ্রকার মাদককেই আমরা সমর্থন করি না। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, যে ঘরে, যে বাড়িতে অথবা যে এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী পাবেন আমাকে ফোন দিবেন। আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলবেন না, শুধু আমাকে জানাবেন।

তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাং কারা? তারা আপনার আমার সন্তান। আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে দেখভাল করবেন। আপনার সন্তানরা কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, পড়ালেখা করে কিনা একটু দেখবেন।

বাল্যবিবাহ নিয়ে তিনি বলেন , আপনারা আপনাদের মেয়েকে ১৮ বছরের আগে কখনোই বিয়ে দিবেন না। এতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুফতি হাফেজ মাওলানা মুফতি ত্বোহা খান, ইসলামী আন্দোলনের জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহ জামাল গাজী সোহাগ, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন সচেতন ওলামা ঐক্য পরিষদ নেতা ও আদালতপাড়া মারিফুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক এইচ.এম নিজাম, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন সচেতন ওলামা ঐক্য পরিষদ নেতা মুফতি আল আমিন, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মাওলানা হাসান জামিল, জামাত নেতা হাফেজ মোহাম্মদ মোস্তফা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল।

এছাড়া সভায় স্থানীয় সকল ওলামায়ে কেরাম, মসজিদের খতিব ও গণ্যমান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়