বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫  |   ৩৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০০:২৮

বেতন-বোনাসের দাবিতে চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারীদের বিক্ষোভ

বেতন-বোনাসের দাবিতে চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অনলাইন ডেস্ক

বকেয়া বেতন, ঈদ, বৈশাখী বোনাসের দাবিতে চাঁদপুর পৌরসভার বিভিন্ন শাখার ২১০ কর্মচারী পৌর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় সকল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেবা নিতে আসা নাগরিকগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পৌরসভার কর্মচারীরা পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা বকেয়া বেতন ও বৈশাখী বোনাস না পাওয়া পর্যন্ত পৌরসভার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

জানা যায়, পৌর কর্মচারীদের অবরোধে পৌরসভায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. গোলাম জাকারিয়া দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, বেতন বোনাসের দাবিতে ক্ষুব্ধ পৌর কর্মচারীগণ পৌর হিসাবরক্ষক সৈয়দ মোঃ মুশিউর রহমানকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি স্বেচ্ছায় বদলির জন্য পৌর প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেন। পরে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদারসহ কয়েকজন এসে তাকে তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করে হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মানিকের কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখেন।

পৌরসভায় উত্তেজনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই মিজান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, পৌরসভার অন্য খাত থেকে কর্মচারীদের বকেয়া রানিং মাসের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। এর আগে ঈদ বোনাসও দেয়া হয়ে গেছে। এখন আর বেতন বকেয়া এবং বোনাসেরও সমস্যা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর পৌরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে চারশ’র মত কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। পৌরসভার নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হচ্ছে না। ফান্ডের অভাবে উন্নয়ন কাজও থমকে আছে। জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চরম অর্থ সংকটে ভুগছে চাঁদপুর পৌরসভা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়