প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ২১:৪০
পাঁচ লাখ চাঁদা না দেয়ায় হালচাষে বাধা ও মারধরের অভিযোগ

মতলব উত্তরে চাঁদা না দেয়ায় হালচাষে বাধা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বিনন্দপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়াজী তার ভাই শাহ আলম মিয়াজির কাছ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে ১৩১নং বড় লক্ষ্মীপুর মৌজার বিএস ২৫৮নং ও ১৬৭ দুটি খতিয়ানের সাবেক ১১৪ হালে ১৫ শতাংশ জমি সাব কবালা করে মালিক হন।
কিন্তু অনেক দিন যাবত জমির মালিক হান্নান মিয়াজির কাছ থেকে শাহ আলম মিয়াজি জমি ফেরত চান। জমি ফেরত দিতে রাজি না হওয়ায় তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হান্নান মিয়াজী ও তার পরিবারের লোকজনদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় হান্নান মিয়াজি মামলা করেন, যা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতলব উত্তর আমলী আদালত, চাঁদপুরে চলমান আছে। যার মামলা নং-৪৩৯/২০২৪ খ্রি. ধারা-১৪৩/৩২৩/৪৪৭/৩৮৫/৫০৬ (২)/৩৪ দণ্ডবিধি। এ ঘটনায় মামলা প্রত্যাহার করার জন্যে বাদী হান্নান মিয়াজী, স্ত্রী জোহরা বেগম ও ছেলে নাবিলকে বারবার হুমকি দেয়া হয়।
হান্নান মিয়াজী জানান, আমি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। আমার ভাই শাহ আলম মিয়াজি কোন্ সূত্রে ফেরত নিতে চান তা জানি না। ফেরত না দেয়ায় আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। জমিতে হালচাষ করতে দেয় না। গত ১৪ মার্চ আবারও শাহ আলম মিয়াজি, তার স্ত্রী শিরিনা বেগম, ছেলে সৌরভ, শুভ প্রকাশ নাঈম ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঘাসিরচর গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে আমান উল্লাহ হামলা চালিয়ে আমাকে, ছেলে নাবিল ও স্ত্রী জোহরা আক্তারকে মারধর করে। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মিয়াজি বলেন, যখন জমি বিক্রি করেছি, তখন ফেরত দেয়ার কথা ছিলো। আমি কোনো চাঁদা দাবি করিনি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হক বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।