শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১:৫৭

কচুয়ায় এসিল্যান্ডের গণশুনানিতে মিসকেস দ্রুত নিষ্পত্তি : কমছে জনদুর্ভোগ

কচুয়ায় এসিল্যান্ডের গণশুনানিতে মিসকেস দ্রুত নিষ্পত্তি : কমছে জনদুর্ভোগ
অনলাইন ডেস্ক

কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনির গণশুনানির কারণে জমিজমা সংক্রান্ত মিসকেস দ্রুত সমাধান হচ্ছে। ফলে কমেছে জনদুর্ভোগ। পাশাপাশি সেবাদানের চিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একসময় বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও বর্তমানে তা দ্রুত সময়ে সমাধান হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি শেষে বাদী-বিবাদীরা খুশি মনে এসি ল্যান্ড কার্যালয় ত্যাগ করেন। সপ্তাহের প্রতি বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড)-এর কার্যালয়ে বসে এ গণশুনানি। এতে ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার অবসান হচ্ছে। ফলে সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এছাড়াও অফিসে রয়েছে সিটিজেন চার্টার এবং তথ্য সহায়তা কর্মকর্তা। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে উপজেলা ভূমি অফিসে এসে সেবা নিতে পারেন।

কচুয়ার বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে যোগদান করেন। ইতোমধ্যেই তাঁর এ গণশুনানির কারণে কয়েক শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রতি বুধবারের এ গণশুনানিতে প্রায় ১০-১৫টি করে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়।

উপকারভোগী উপজেলার জগতপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার বাদী ও বিবাদীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন। ভুলক্রমে অন্যের জায়গা আমার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। গণশুনানিতে এসে সমাধান পেয়েছি।

এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মী কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এমদাদ উল্লাহ বলেন, নামজারি করতে হলে অনেক টাকা দিয়ে দালাল ধরে নামজারি করতে হতো। বর্তমান এসিল্যান্ড দায়িত্ব নেয়ার পর দালালের দৌরাত্ম্য কমেছে, মানুষের কাছে নামজারি সহজ হয়ে গেছে। মিসকেস বিষয়ে গণশুনানির মাধ্যমে সমাধান করে দিচ্ছেন, এতে মানুষ নানা ধরনের হয়রানি থেকে রেহাই পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসি ল্যান্ড) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, ‘গণশুনানির মাধ্যমে যেসব বিষয়ে বেশি মিসকেস পেয়ে থাকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপস বন্টন কম হয়, ওয়ারিশ সম্পত্তি একেকজন ওয়ারিশ নিজেদের মতো ক্রয় বিক্রয় করে দেয়, কিন্তু দখলে দেখা যায় অন্যজন থাকে। এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশিরভাগ গণশুনানিতে সমাধান করতে হয়। ফলে ভূমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রে আপসবণ্টন এবং ক্রয়সূত্রে ভূমি মালিকানা হস্তান্তর করার সাথে সাথে মালিকগণ নিজ নিজ নামে পৃথক নামজারি জমা খারিজ করিয়ে নিলে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও জালিয়াতি উভয়ই হ্রাস পাবে। এছাড়া কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে কচুয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি জায়গায় নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেদ ও জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি রক্ষায় মাটি কাটা ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়