শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৭

ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব

কলেজ ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি চর্চার এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করবে : অধ্যক্ষ শাহ মো: মাছুম বিল্লাহ্

কলেজ ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি চর্চার এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করবে : অধ্যক্ষ শাহ মো: মাছুম বিল্লাহ্
শামীম হাসান

ফরিদগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এ বছর প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হলো বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) কলেজ মাঠে দিনব্যাপি এই বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। কোনোটির নাম 'হ্যাং ওভার' আবার কোনোটির নাম 'সিঙ্গেল'--এমন বাহারি নাম ও ভিন্ন স্বাদের শতাধিক পিঠার সমাহার সাজিয়ে বসেছে শিক্ষার্থীরা। শুধু পিঠার নামেই বৈচিত্র্য নয়, প্রতিটি পিঠার স্টলেরও ছিলো দৃষ্টিকাড়া ভিন্ন রকম সব নাম।

শীতকালীন পিঠার পাশাপাশি গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা পিঠাগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে ছিলো এই পিঠা উৎসবের আয়োজন।

শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে বানানো হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলো প্রতিটি স্টলে। মিষ্টি স্বাদের নানান রকমের এসব পিঠার পাশাপাশি কয়েকটি স্টলে দেখা মিলেছে ভিন্ন রকমের কেক এবং চটপটি ও ফুচকার। উৎসবে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রায় প্রতিটি স্টলেই স্থান পেয়েছে বিশেষ লেখা সম্বলিত পোস্টার।

বাহারি নামের নানা রকমের পিঠার স্বাদ নিতে পুরো দিনব্যাপী মেলার স্টলগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই ছিলো। উৎসবের আমেজে পছন্দের পিঠাটি হাতের কাছে পেয়ে আনন্দিত হয় ক্রেতারা। বাড়ি থেকে বানিয়ে আনা এসব পিঠা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানান বিভিন্ন স্টলের পিঠা বিক্রি করা শিক্ষার্থীরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ সকলের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস।

কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো. মাছুম বিল্লাহ্ জানান, বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের এমন সুন্দর পরিবেশনা ও উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের প্রতি অনেক আগ্রহী এই আয়োজন তারই দৃষ্টান্ত। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর কলেজের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কোনো আয়োজন করতে পেরে আমি আনন্দিত। বসন্তবরণ বাঙালির একান্তই নিজস্ব সংস্কৃতি। এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যেনো এসব উৎসবের সাথে পরিচিত থাকে সেজন্যে নিয়মিত এমন আয়োজনের প্রচেষ্টা থাকবে। কলেজ ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি চর্চার এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের সকল অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রেখে শিক্ষামুখী করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়