শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৬

দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে : ডিপিইও

কচুয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মো. নাছির উদ্দিন ॥
কচুয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

কচুয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে স্কুল শিক্ষার্থী সামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থল তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনসহ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে আসেন।

তদন্ত দলের সদস্যরা হচ্ছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ চৌধুরী, কচুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র।

তদন্ত শেষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ে এসে আগুনে পুড়ে শিশু শিক্ষার্থী সামিয়ার মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। ঘটনার সঠিক তদন্তে আমি নিজে সরেজমিনে এসেছি। ওই দিনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে আমি স্থানীয় লোকজন, শিক্ষার্থীর পিতামাতা, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি এবং লিখিত আকারে তাদের জবানবন্দি নিয়েছি। এ ঘটনায় কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর গাফিলতি এবং দায়িত্বহীনতা প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়

ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

নিহত শিক্ষার্থী সামিয়ার বাবা মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমার অবুঝ মেয়েটি এভাবে স্কুলে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাবে আমি তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। শিক্ষক ও কর্মচারীর অবহেলার কারণেই আমার মেয়ে পুড়ে মরেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার পর কচুয়া উপজেলার ৪১নং তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া স্কুল ছুটির পর বড়ো বোনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে খেলার ছলে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় ময়লার স্তূপের আগুনে পড়ে যায়। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। এ সময় তার

শিক্ষকরা ছুটে এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে শিশু সামিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। সেখানে ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৬ জানুয়ারি সে মারা যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়