প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৬
সিডিউল না মেনে লঞ্চ চলাচল নিয়ে উত্তেজনা
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তিনটি যাত্রীবাহী লঞ্চের বিরুদ্ধে সিডিউল না মেনে আধা ঘন্টা দেরিতে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পেশিশক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ এক বছর যাবত ঢাকার লঞ্চ মালিকরা এই অনিয়ম করে আসছে বলে অভিযোগ করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে সঠিক সময়ে লঞ্চ না ছাড়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে অন্যান্য লঞ্চ মালিক।
শুক্রবার চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ'র বন্দর কর্মকর্তা বশির আলী খানের নির্দেশে টিআই মাহাতাব যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি রায়হান, রহমত ও জামাল-৮কে প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু লঞ্চ রায়হানের কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা অমান্য করে সঠিক সময়ে না ছেড়ে আধা ঘন্টা দেরিতে লঞ্চ ছাড়ার চেষ্টা করে। এতে টার্মিনালে অন্যান্য লঞ্চের সুপারভাইজার ও কর্তৃপক্ষের সাথে রায়হান লঞ্চের লোকজনের হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চিঠির আলোকে দেখা যায়, ঢাকা থেকে যে সকল লঞ্চ রাত সাড়ে বারোটায় ছাড়বে সেই লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ছাড়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ঢাকার ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন রায়হান, রহমত ও জামাল-৮ লঞ্চের কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময় পেশীশক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ এক বছর যাবত অনিয়মের মধ্য দিয়ে আধা ঘন্টা দেরিতে টার্মিনাল থেকে তাদের লঞ্চ ছেড়েছে।
এই অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা বশির আলী খান। অবশেষে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক সময় লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন বিআইডব্লিউটিএ'র টিআই মাহাতাব।
এ বিষয়ে বন্দর কর্মকর্তা বশির আলী খান জানান, পূর্বের যত অনিয়ম হয়েছে তা বর্তমান সময়ে হতে দেয়া হবে না। সিডিউল অনুযায়ী লঞ্চ ছাড়তে হবে। যারা সরকারের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দেরিতে লঞ্চ ছাড়বে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে চাঁদপুরের অন্যান্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘ এক বছর যাবত ঢাকার মালিকানাধীন রায়হান, বরকত ও জামাল লঞ্চ আধা ঘন্টা দেরি করে চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সকল লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন অনিয়ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা হামলা ও হুমকি দিতো। তাই এ সকল অনিয়ম ঠেকাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।