বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৪

হাইমচরে জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসারসহ আহত ৫

ইউপি সদস্যসহ আটক ৪।। আটক জেলেদের এক বছর করে সাজা

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
ইউপি সদস্যসহ আটক ৪।। আটক জেলেদের এক বছর করে সাজা

হাইমচরের মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করার সময় জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য অফিসার এবি এম আশরাফুল আলমসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ চার জেলেকে আটক করেছে হাইমচর উপজেলা মৎস্য অফিস। আটক আবুল বাশার দর্জি হানারচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। আটক সকল জেলেকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হাইমচরে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা মৎস্য অফিসের ১০জনের একটি টিম। রাত ১০টার দিকে হাইমচরের সীমানায় জাল ফেলে মাছ নিধন করছিলো কতিপয় জেলে। তখন মৎস্য অফিসের বোট এগিয়ে গেলে জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। মৎস্য অফিসের লোকজন তাদের কাছাকাছি গেলে জেলেরা বৈঠা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জেলেদের হামলায় মৎস্য অফিসারসহ আরো ৪ স্টাফ আহত হয়। পরে ধাওয়া করে ৪ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয় মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা। আটককৃত জেলেরা হলো : বারেক দর্জির ছেলে আবুল বাশার দর্জি (৪০) (তিনি হানারচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য), একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহম্মদ আলী (২৮), রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল বারেক ছৈয়াল (৩২) ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ইমান রাঢ়ীর ছেলে আহমেদ আলী (২৮)। পরে বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটককৃত জেলেদের ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।

উপজেলা মৎস্য অফিসার এবিএম আশরাফুল আলম জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলে নদীতে অভিযানে যান তারা। অভিযান চলাকালীন সময় রাতের অন্ধকারে অসাধু কিছু জেলে মাছ নিধন করছিলো। জেলেদের দিকে অভিযানের বোট এগিয়ে গেলে জেলেরা হিংস্রভাবে তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় তারা আহত হওয়ার পরও জেলেদের ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হন। পরে আহত মৎস্য কর্মকর্তা ও আহত স্টাফরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, জেলেরা যেভাবে হিংসাত্মক হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো, বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই আমি তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করেছি। যাতে করে ভবিষ্যতে কোনো জেলে কোনো কর্মকর্তার ওপর হামলা করার সাহস না হয়। যদি কোনো জেলে আবারও হামলা করে তাদের আরও বড় ধরনের সাজা প্রদান করবো। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়