শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৭

ঈদের আমেজে মেতেছে চাঁদপুরের মার্কেট-শপিংমল

অনলাইন ডেস্ক
ঈদের আমেজে মেতেছে চাঁদপুরের মার্কেট-শপিংমল

রমজান মাসের প্রায় বিশ রোজা শেষে ঈদের আমেজ লেগেছে চাঁদপুরের সকল হাট বাজার, মার্কেট, বিপনীবিতান ও শপিংমলে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন শপিং মলে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী, জুতা, গয়না, ঘরের অন্দরসজ্জা সামগ্রী, ক্রোকারিজ ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রসহ ঈদ কেনাকাটায় ভিড় করছেন মানুষ। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন পেয়ে মানুষের এই ভিড় বেড়েছে অন্য সময়ের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।

শপিং মলগুলোতে ক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে এলেও পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। ঈদকে রঙিন করে তুলতে নতুন পোশাকেই প্রাধান্য বেশি ক্রেতাদের। এছাড়া ঘরের অন্দরসজ্জা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে উপস্থিতির সঙ্গে অভিযোগও ছিল ক্রেতাদের। তারা বলছেন, অনেক। পণ্যের দাম রাখা হচ্ছে আগের থেকে বেশি।

শুক্রবার পুরাণবাজারের ব্যবসায়িক এলাকার ট্রাঙ্কপট্টি,খলিফা পট্টি,যোগীপট্টি,লোহারপুল, নতুনবাজারের পালবাজার,পৌর সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট,ঢাকা গার্মেন্টস মার্কেট,পূরবী মার্কেট,বিউটি স্টোর,মালঞ্চ,সপ্তডিঙ্গা,সাগরিকা,মীর শপিং কমপ্লেক্সে, কুমিল্লা রোডের মার্কেটগুলোসহ মদিনা শপিং সেন্টার,রেলওয়ে হকার্স মার্কেট,মিয়া ম্যানশন,আহমেদ ম্যানশন,হাকিম প্লাজা,ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে সরেজমিন দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। ঈদ আসতে আর বাকি রয়েছে উনিশ দিন। তাই এই সময়ে চাঁদপুর জেলা শহরে উপজেলা সদরে এবং ইউনিয়ন গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজার মার্কেটে বাড়ছে ক্রেতাদের সমাগম। পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। ক্রেতারা ঘুরছেন দোকানে দোকানে আর বিক্রেতারা দেখাচ্ছেন একের পর এক পণ্য। ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে চাঁদপুর সদর হাইমচর শাহরাস্তি কচুয়া হাজিগঞ্জ মতলব উত্তর দক্ষিণের মার্কেটগুলো। দুই বন্ধুকে নিয়ে ঈদের শপিং করতে শহরের মার্কেটে এসেছিলেন চাকরিজীবী এমদাদুল । আজ নিজের জন্য পাঞ্জাবি, পায়জামা, জিনস প্যান্ট ও চামড়ার স্যান্ডেল কিনতে বেরিয়েছেন বলে জানান তিনি। পাঞ্জাবি-পায়জামা কেনা শেষ, এখন প্যান্ট ও স্যান্ডেল কিনতে ঘুরছেন বলে জানান এমদাদুল। তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু সাজিদ ও রুবেলও জানান একই কথা। শান্ত ও নীলা দম্পতি পৌর নিউ মার্কেটে এসেছেন কেনাকাটা করতে। দুই ছেলে-মেয়ের জন্য পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, প্যান্ট, ফ্রক, জুতা: বাবা-মায়ের জন্য পাঞ্জাবি, শাড়ি কিনেছেন বলে জানান শান্ত। স্ত্রীর জন্য কিনেছেন সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি কসমেটিকস।

এ সময় নীলা অভিযোগ করে বলেন, আমি দুইটা বিউটি ক্রিম কিনেছি। আগে এগুলোর দাম ছিল ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। আজ কিনতে হয়েছে ৬০০ টাকা করে। দোকানদার বলেছেন বেশি দামে কিনতে হয়, তাই দাম বেড়েছে। পুরান বাজার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসেন সাদমান বলেন, এখানে মোটামুটি কম দামে জিনস প্যান্ট পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি।

সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আজ মার্কেটগুলোতে বেশি ভিড় ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। মীর শপিং কমপ্লেক্স ও রেলও হকার্স মার্কেটের কয়েকজন বিক্রয়কর্মী বলেন, আমাদের মার্কেটে সবসময় ভিড় থাকে। যেহেতু ঈদ আসছে, আবার আজ ছুটির দিন, এই কারণে ভিড় বেশি। আমাদের বেচাকেনাও ভালোই হচ্ছে।২০ রমজানের পর ঈদের কেনাকাটা আরো জমজমাট হয়ে উঠবে।

পুরান বাজার খলিফা পট্টি লুৎফুর রহমান খান স্টোরের পরিচালক মারুফ খান বলেন, ঈদ যত কাছাকাছি আসবে কাস্টমারও বাড়তে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আমাদের বেচাকেনা এবার ভালোই হবে মনে হচ্ছে।

হকার্স মার্কেট ও শিল্পকলা একাডেমীর পাশের বেঙ্গল পর্দার দোকানে ননদ ও মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন মহামায়ার গৃহিনী রোকেয়া বেগম।গ

বাসার জন্য পর্দা,বিছানার চাদর, সোফার শুভাঃ ও কুশন কভার কিনতে। তিনি বলেন, শুধু নিজেকে সাজালেই হবে না, ঘরও সুন্দর করে সাজাতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা একটা বড় বিষয়, যেটা কতার, নতুন কুশন কভার, বিছানায় খুবই জরুরি। আর ঘর সাজাতে বা খুব ভালোভাবে কাজ নতুন রূপে আনতে পর্দা, সোফার চাদর পরিবর্তনের কথা জানালেন আরেক ক্রেতা সানজিদা ইসলাম। তাই এগুলো কিনতে এসেছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পিংকী বলেন, এবার শাড়ি আর সালোয়ার কামিজ কিনেছি। কিছু কসমেটিকসও সঙ্গে ম্যাচ করে কানের দুল, চুড়িও নিতে হবে বলে জানান তিনি।

সার্বিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট এখন চাঁদপুর। সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এবং ইফতারের পর এই দুই সময় পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানে বিক্রেতা এবং ঈদ ক্রেতা সাধারণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়