মাদক বিক্রির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কাচ্চা কলোনীতে ধর্মীয়, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে হামলা : আহত ৪

চাঁদপুর শহরে মাদক বিক্রির আধিপত্য কে কেন্দ্র করে কাঁচ্চা কলোনীর এলাকায় পর পর দু' দিন হামলা করেছে সন্তাসীরা।

সন্তাসীদের এই হামলায় রেহাই পায়নি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়ি। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাদ্দাম পিতা - আঃ হান্নান বকুলতলা চাঁদপুর কে আটক করে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের কয়লাঘাট এলাকার চিহ্নিত একটি মাদক মাদক বিক্রেতা চক্র প্রায়ই কাচ্চা কলোনী এলাকায় গিয়ে মাদক বিক্রি করে। এ মাদক বিক্রির ঘটনা কে কাচ্চা কলোনীর তরুণরা বাঁধা প্রদান করে। এই বাঁধা প্রদান করায় কয়লাঘাট এলাকা ও শহরের বকুলতলা এলাকার একটি সন্তাসী গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরপর দুইদিন শহরের কাঁচা কলোনী এলাকার হামলা চালিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

ঘটনার প্রথম দিনে ঘটনাটি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে মডেল থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একই গ্রুপ কাচ্চা কলোনীতে গিয়ে পুনরায় হামলা চালায়। পুনরায় ঘটনাটি এলাকাবাসী মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক পর্যায়ে মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসীন আলমের নেতৃত্বে কয়লাঘাট এলাকায় মাদক বিরোধী ব্লক রেড অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে পুলিশ মাদক সহ ও দু'মাদক বিক্রেতাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।

এদিকে এই সন্তাসীদের হামলায় কাচ্চা কলোনীর কমপক্ষে ৭ টির বেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলার শিকার হন এবং বাসা বাড়িগুলো ভাংচুরের শিকার হন।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে ৩ টি অভিযোগ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে হামলায় ৪ জন আহত হয়ে চাঁদপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অপরদিকে মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে নিম্ন লিখিতদের অভিযুক্ত করে ৩ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন -

বিপ্লব (২৫), শাকিল (২৪), মনির (২২), সাগর (২৩), সিয়াম (২৫), , শাহিন পেদ্ৰা (২৩), অপু (২১), আনোয়ার (২৩),

ফরহাদ (২২), রমজান, রোহান, আলাউদ্দিন।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক সাদ্দামকে গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে অভিভাবকদের জিন্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসীন আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার সূএপাত এবং ঘটনার বিষয়ে জেনে রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীদের আটক অব্যাহত রয়েছে। যে ক'জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।