বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩, ১৯:০০

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: চাঁদপুরের তিনজনের বাড়িতে শোকের মাতম

স্টাফ রিপোর্টার
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: চাঁদপুরের তিনজনের বাড়িতে শোকের মাতম

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচরের মোশাররফ হোসেন মিয়াজীর ছেলে মানসুর ও পশ্চিম লালপুরের মোঃ বিল্লাল হোসেন বেপারীর বড় ছেলে ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদীয়মান শিক্ষার্থী মোঃ আল-আমিন (২৩), কচুয়া উপজেলার হেদায়েত উল্লাহর মেয়ে পারভীনের (৩১), বাড়িতে শোকের মাতম নেমে এসেছে।

কোন সান্ত্বনাই থামাতে পারছে না নিহতের মা-বাবার কাঁন্না। সন্তানকে নিয়েই সাজানো ছিল যে মায়ের পৃথিবী এক নিমিষেই তা যেন এলোমেলো হয়ে গেলো। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা।

জানা যায়, এ পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতরা হলেন- পুরান ঢাকার মো. মোমিনের ছেলে মো. সুমন (২১), বরিশালের কাজীরহাটের মৃত দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা (৩৫), পুরান ঢাকার বংশালের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪২), পুরান ঢাকার কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত (১৮), পুরান ঢাকার চকবাজারের আবুল হাশেমের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার মুমিনুল ইসলামের মেয়ে নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)। বুধবার দুর্ঘটনাস্থলের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে আরো দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস টীম।

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাত তলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

জানা যায়, সাততলা যে ভবনে (ক্যাফে কুইন) বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।

বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ক্যাফে কুইন ভবনে বেশিরভাগই স্যানিটারি ওয়্যারের দোকান। ভবনের পাশে ব্র্যাক ব্যাংকের ভবন। ক্যাফে কুইন ভবনের বিস্ফোরণে ব্র্যাক ব্যাংক ভবনসহ আশপাশের স্থাপনারও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়