প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ১২:২০
৩০ দিনে ৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে
মাত্র ৩০ দিনে শুধু অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়েছে ৭ লাখ টাকা। মাত্র ৯টি ড্রেজারের উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই অর্থ আদায় করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। জরিমানা প্রদানকারী মালিকদের এই সকল ড্রেজার হয় জব্দ করা হয়েছে অথবা ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৫ (১) ও ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী এই সকল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন ও জলাধার তথা খাল পুকুর ভরাট করার দায়ে পরিচালিত ভ্রাম্যামাণ আদালত গত জুলাই জুড়ে পরিচালনা করা হয়। জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকে শুরু হয়ে গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত পৌরসভাসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি মাঠে অবৈধ ড্রেজারের উপর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে উপজেলার সর্ব উত্তরে রাজারগাঁও আবার সর্ব দক্ষিনে দেশগাঁও কোন মাঠ বাদ যায়নি ড্রেজার জব্দ করা থেকে আর এ সকল মাঠ চষে বেড়িয়েছিয়েন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তথা হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানা যায়, রাজাগাঁওয়ে ড্রেজার জব্দকালে সরকারি কর্মকর্তাকে নাজেহাল করার দায়ে মামলা করা হয়। এতে করে ড্রেজার মালিক মিজানুর রহমান ওরফে কেরফা মিজানকে ৫০ হাজার টাকা, ৩১ জুলাই উপজেলার দেশগাঁও কৃষি মাঠে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে ১লাখ টাকা জরিমানা দেন স্থানীয় আব্দুর মজিদ মাষ্টারের ছেলে আব্দুল আজিজ, গত ৩০ জুলাই বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দিঘচাইল গ্রামের একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আলমগীর হোসেন জরিমানা দেন ১ লাখ টাকা, ১৯ জুলাই হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর এলাকায় ঐ গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে এমরান মৃধাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১৮ জুলাই কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের খোদাই বিলে নুমান মিজি ও স্বপন মজুমদারকে দেড় লাখ টাকা, ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার মৈশাইদ মো. ফরহাদ হোসেন মজুমদার ও কৃষি জমির মালিক মর্জিনা আক্তারকে ১ লাখ টাকা,১৪ জুলাই দুপুরে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা গ্রামে মো. আব্দুল্লাহ্ আল নোমানকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১৩ জুলাই পৌরসভাধীন বদরপুর আরিফকে ৫০ হাজার টাকা, ৭ জুলাই হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামে শরিফুল ইসলাম এবং কৃষি জমির মালিক মো. সেলিমকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসব মিলিয়ে আদায়কৃত ৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার জানান, যেখানে ড্রেজার চলবে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধকাজে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।