প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৪:১৩
বাঁশের সাঁকো-ই ২৫ পরিবারের চলাচলের ভরসা!
২৫টি পরিবারের প্রায় ২ শতাধিক লোকের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একমাত্র সাঁকো ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের রোগী, বিয়ে, মালামাল আনা-নেয়া সবই সাঁকো নির্ভরশীল। সাঁকো থেকে পা পিছলে ইতিমধ্যে বেশ পা পিছলে আহত হয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
|আরো খবর
সাঁকোটি হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচো দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মির্জা বাড়িতে। এতো উন্নয়নের মাঝে আজকের যুগে বাঁশের সাঁকো থাকে কি করে এমন বিষয় ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্ট মহলকে।
সরজমিনের দেখা যায়, মির্জা বাড়িতে যাওয়া আসার একমাত্র পথটি দিঘীর পাড় ঘেঁষে চলে গেছে। দীর্ঘদিন পথটি সংস্কার না করার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে দিঘীতে চলে গেছে। ফলে রাস্তা হয়ে গেছে দিঘীর অংশ। এই অংশে এখন প্রায় ২শ ফিট বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে তা দিয়ে চলাচল করছে পরিবারগুলো।
মির্জা বাড়ীর বাসিন্ধা স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মির্জা জানান, শত বছরের পুরাতন দিঘির পাড় ভেঙ্গে এখন বসতবাড়ির আঙ্গিনায় লেগে গেছে। চলচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিয়েছি। বিশেষ করে রোগী, হাটবাজার নিয়ে সাঁকো পার হতে প্রতিনিয়ত আমাদেরেক বেগ পেতে হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ীর দিঘির পাড় প্রতিবছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে চলচলের পথটি বিলীন হয়ে গেছে। বাড়ির চলাচলের পথ দিঘীতে চলে যাওয়ায় সবাই মিলে চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি করে নিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, মির্জা বাড়ির সাকোঁটির বিষয়ে আমি অবগত আছি। এ মুহুর্তে আমাদের হাতে কোন বরাদ্ধ নেই।সামনে প্রথম যে বরাদ্ধ আসবে তা থেকে আমরা মির্জা বাড়ির রাস্তা করে দেবো।