প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:১৩
বাকিলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১৩ তালা বালিসহ সুপার গ্লু
হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের নিউ সুপার মার্কেটের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১৩ তালায় বালু ও সুপার গ্লু (আঠা) দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। এ সময় একটি ব্যবসা প্রতষ্ঠানের প্রায় অর্ধ-লক্ষার্ধিক টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। তবে একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একজনকে সনাক্তা করা গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়,বাকিলা বাজারস্থ নিউ সুপার মার্কেটের
মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের ১৩টি তালায় বালু ও সুপার গ্লু দিয়ে অকার্যকর করে দেয়া হয়েছে। পরে সকল তালা কেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
এছাড়াও একই মার্কেটের আল আরাবি পাঞ্জাবি টেইলার্স ও ফ্রেবিক্সের তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কেটের সত্ত্বাধীকারী মিজানুর রহমান পাটওয়ারী ও মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের সত্ত্বাধীকারী মো. রুহুল আমিন। পূর্ব শত্রুতার জেরেই এমনটি করা হয়েছে বলে জানান।
এ দিকে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মো. মোস্তাক আহম্মেদ সিব্বির ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিসবাহুল আলম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল ধরসহ বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বালু ও আঠা লাগানো উন্নত মানের ১৩টি তালা কেটে ফেলা হয়।
মার্কেটের সত্ত্বাধীকারী মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, নিউ সুপার মার্কেটের অংশিদারদের একজন রব কাজির সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের সূত্র ধরে আমাকে ও আমার ভাড়াটিয়াসহ অন্যান্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে রব কাজি ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমি মাননীয় আদালতেও মামলা করলে (১৯২/২০১৯) আদালত আমার পক্ষে রায় দেয়। সবশেষ আজ (বৃহস্পতিবার) মাদ্দাহ খাঁ স্যানেটারি এন্ড ইলেকট্রিকের দোকানের ১৩টি তালায় বালু ও সুপার গ্লু দিয়ে অকার্যকর করে দেয় রব কাজির ভাগ্নে কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের সাকছিপাড়া গ্রামের আহম্মেদ আলী বেপারীর ছেলে আমিন (৩৫)।
মিজানুর রহমান জানান সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, আমিন দোকানের তালাগুলোতে বালু ও আঠা দিচ্ছে। ওই সময়ে মার্কেটের বাহিরে এবং ওই দোকানের সামনে রব কাজির ছেলে মো. হারুন (৩৫) ও মো. জুয়েল (৩০) দাঁড়ানো ছিল। বাজারের অন্যান্য লোকজন তাদের দেখতে পেেয়েছে। আমি তাদেরকে সকালে দেখে ভাবলাম, তারা এমনিতেই মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই কিছু তাদের কিছু বলিনি।
এ বিষয়ে রব কাজির ছেলে মো. হারুন ও মো. জুয়েল এবং ভাগিনা আমিনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রব কাজির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিসবাহুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তারা অভিযোগ দিলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।