রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২২, ১৬:৫৩

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় জেলা প্রশাসক

বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন

মিজানুর রহমান
বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। স্বাধীনতার পরে দেশ গঠনে কাজ করেছেন। খুব কম সময়ে জাতিকে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন বিশ্বের দরবারে। এই দেশ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন না করলে এখনো আমরা সেই পরাধীন হয়ে পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম।

তিনি ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদপুর শিল্পকলাএকাডেমিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইমতিয়াজ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, জেলা প্রশাসকের স্বামী ও ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম মোঃ জহুরুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযুদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ। সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধান দিয়েছেন, অর্থনীতিকে একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তারপর কুচক্রী মহলের হাতে তিনি নিহত হন। দেশের ইতিহাস অন্যভাবে প্রবাহিত হতে থাকে। তারপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দিনবদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবাইকে স্বপ্ন দেখান এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০২২। আমরা কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। সবাই স্বীকার করবেন আমাদের সবার জীবন যাত্রার মান বেড়েছে। আজকে দেশে রেমিটেন্স বেড়েছে।মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের পদ্মা সেতু হয়েছে, জুন মাসে সেটি চালু হবে। মেট্রোরেল হচ্ছে, আমরা মেট্রোরেলে যাতায়াত করব। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হয়েছে আর ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের কাছে অকল্পনীয় চিন্তা ভাবনা ছিল এখন সারাবিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।আর এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পার হয়ে এসেছি। ৫১ তম বছরে অবস্থান করছি। পঞ্চাশ বছর স্বাধীন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমাদের সামনে চলার যেমন ভিশন আছে, আমরা জানি আমাদের কিভাবে আগাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই রূপরেখা দিয়েছেন সামনে এগিয়ে চলা। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছি।২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবো। সেই লক্ষ্যে প্ল্যান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য চিন্তা করেন, ভাবেন এবং পরিকল্পনা করেন। আমাদের দায়িত্ব যার যে কাজ সেটা যেন ভালোভাবে করি। আমরা যে সেবা দেওয়ার জন্য এসেছি, সেই সেবা যেন দিতে পারি। তাহলে দেশকে ভালোবাসা হবে। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় সেটা আমরা করতে পারবো।

জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে আমরা ভালোবাসি সেটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে সরকারি খাস জমি খাল-বিল নদী-নালা রক্ষা করা। আমি যদি সেটা না করি তাহলে সরকারের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলাম না।

তিনি বলেন,আমি দেশকে, বঙ্গবন্ধুকে,প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসি। সেই ভালবাসার আদর্শ থেকে আমি আমার কাজগুলো করছি। সেই কাজগুলোতে আমাদের প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধারা এবং চাঁদপুরের সকল মানুষ সহযোগিতা করছে। আমি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা এবং সকলকে নিয়েই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে একজন অংশীদার হতে চাই।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই।তাহলে দেশের প্রতি যে কমিটমেন্ট সেটা ফুলফিল হবে।স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হবে দেশকে ভালোবাসা আমাদের কাজগুলো যথাযথভাবে করা। আলোচনা শেষে স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পরে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুধীজন বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়